মাঝধরার জালে আটকে পড়ল দৈত্যাকার সামুদ্রিক প্রাণী। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে কেরলের ভারকালার সমুদ্রসৈকতে ভেসে এল অতিকায় এক হাঙর তিমি । সামুদ্রিক প্রাণীটিকে দেখে যুগপৎ কৌতূহলী ও আতঙ্কিত হন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। হাঙর তিমিটিকে গভীর সমুদ্রে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেন কয়েক জন। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেদের জালে ভুলবশত ধরা পড়েছিল এই আপাত নিরীহ প্রাণীটি। ঢেউয়ের ধাক্কায় আছড়ে এসে বালির উপর অসহায় অবস্থায় পড়ে ছিল এটি। সেই দৃশ্য দেখে কয়েক ডজন স্থানীয় বাসিন্দা, জেলে এবং পর্যটক হাতে হাত মিলিয়ে হাঙর তিমিটিকে সমুদ্রে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। হাঙর তিমির রুক্ষ ত্বকের আঁচড়ে তাঁদের শরীর কেটে রক্তপাত হতে শুরু করে। তাতে দমে যাননি তাঁরা। তিন ঘণ্টার চেষ্টার পরেও হাঙর তিমিটিকে সমুদ্রে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। কারণ সমুদ্রের পারে জল অগভীর থাকায় বার বার প্রাণীটি বালিতেই আটকে পড়ছিল। সমুদ্রে ঠেলে দেওয়া সত্ত্বেও ঢেউয়ের ধাক্কায় তীরেই ফিরে ফিরে চলে আসছিল সেটি।
একটানা চেষ্টার পর, দু’টি উদ্ধারকারী নৌকো তীরে এসে পৌঁছোয়। হাঙরের লেজের চারপাশে সাবধানে একটি দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। দড়ি টেনে এটিকে আস্তে আস্তে আরও গভীর জলে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিযানটি সফল হয়। তিমি হাঙরটি ধীরে ধীরে নড়াচড়া করতে শুরু করে। সাঁতার কেটে সে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয়। সৈকত জুড়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন উদ্ধারকারীরা।
ইনস্টাগ্রামের ‘দিপুড্রপস’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। কয়েক হাজার বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। বিপন্ন প্রাণীটির উদ্ধার অভিযানের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই নেটাগরিকেরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। ৯০ হাজারের বেশি লাইক জমা পড়েছে তাতে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা প্রত্যেককে ধন্যবাদ। রুদ্ধশ্বাস এক অভিযানের সাক্ষী রইলাম।’’