থানায় ঘেরাও পড়ুয়াদের। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনার বিহিত চেয়ে পথ অবরোধে বসা স্কুল পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কিন্তু অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় এ বার থানা ঘেরাও করল স্কুল পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুরে ডেবরা থানায় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বালিচক ভজহরি ইনস্টিটিউশনের পড়ুয়ারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ওই স্কুলে বাম শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সভা ও তৃণমূল সমর্থিত দশেরা উৎসব কমিটির ফুটবল খেলা ছিল। তবে স্কুল ছুটির আগেই বিভিন্ন স্কুল থেকে আসা বাম শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জোনাল সম্পাদককে। ঘটনার প্রতিবাদে স্কুল গেটের কাছে যেতেই ওই স্কুলের শিক্ষক সহদেব সিংহ ও প্রদীপ সিংহ মহাপাত্রকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের যুব সভাপতি প্রদীপ করের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার স্কুল পড়ুয়ারা ডেবরা-সবং রাস্তা অবরোধ করে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পুলিশি পদক্ষেপ দাবি করলেও তা না হওয়ায় ফের বিকেলে অবরোধে বসতে যায় পড়ুয়ারা। সেই সময় প্রদীপ করের নেতৃত্বে পড়ুয়াদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপরই প্রদীপ করের গ্রেফতারের দাবি তোলে পড়ুয়ারা। দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার থানার সামনে জমায়েত করে ছাত্রীরা। স্কুলেরই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ঋত্বিকা মাইতির অভিযোগ, “আমরা স্যারদের জন্য পথে নামায় প্রদীপ কর ছাত্রীদের নিয়ে কু-মন্তব্য করেছেন। আমরা ওর শাস্তি চাই।” দীর্ঘক্ষন অবস্থান চলার পরে অবস্থানরত পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করেন থানার ওসি জয়ন্ত চক্রবর্তী। ওই আলোচনা শেষে পুলিশি নোটিশ অনুযায়ী প্রদীপ কর হাজির না হলে তাঁকে বুধবার রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করা হবে বলে পড়ুয়াদের আশ্বাস দেওয়া হলে ঘেরাও উঠে যায়। যদিও অভিযুক্ত প্রদীপ কর এর পরও বলেছেন, “এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy