পানিপারুল মুক্তেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে চলছে নজরদারি।—নিজস্ব চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই হয়েছে। পরীক্ষা ঘিরে বুধবার জেলার কোথাও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রগুলোয় ছিল কড়া পুলিশি নজরদারি। যানজট সমস্যা এড়াতে বিভিন্ন রাস্তায় বাড়তি পুলিশও মোতায়েন হয়। দু’জন পরীক্ষার্থী হাসপাতালে পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে একজন ডেবরা হাসপাতালে, অন্যজন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। অসুস্থ এই দুই পরীক্ষার্থী যাতে হাসপাতালেই পরীক্ষা দিতে পারে, সেই জন্য তড়িঘড়ি সব বন্দোবস্ত করেন হাসপাতাল ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কর্তৃপক্ষ। একজন মঙ্গলবার রাতে এবং অন্যজন বুধবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মেদিনীপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের অধিকর্তা সৌভিক ঘোড়ই বলেন, “বুধবার সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা হয়েছে। কোথাও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৩৯৫। এর মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৫৮৪। ছাত্রী ২২ হাজার ৮১১। মোট পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৯৪টি। অন্য দিকে, এ দিন একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও শুরু হয়। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও নির্বিঘ্নে হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫০ হাজার ২৭৬। এর মধ্যে ছাত্র ২৫ হাজার ৭০৬, ছাত্রী ২৪ হাজার ৫৭০। বুধবার সকাল থেকেই প্রতিটি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে পুলিশি নজরদারি ছিল। ভিডিও ক্যামেরা নিয়েও একটি দল নজরদারি চালিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
মাধ্যমিকের পর জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক। এ দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে অনেক ছাত্রছাত্রীর চোখেমুখেই ধরা পড়েছে উদ্বেগের ছবি। উদ্বেগে ছিলেন তাদের অভিভাবকেরাও। তবে পরীক্ষা শেষে ওই সব ছাত্রছাত্রী হাসিমুখে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরোন। ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতালে পরীক্ষা দিয়েছে সন্তু রাউত নামে এক ছাত্র। গায়ে জ্বর নিয়ে বুধবার সকালে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেবরার বিএমওএইচ রজত পাল বলেন, “ওই ছাত্র সুষ্ঠু ভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে।” অন্য দিকে, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পরীক্ষা দিয়েছে মিনু দোলুই নামে এক ছাত্রী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার রাতে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়। খড়্গপুরের হাসপাতাল সুপার দেবাশিস পাল বলেন, “ওই ছাত্রী যাতে সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, সেই জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
অন্য দিকে, এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের ৫৬ টি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রে সকাল ১০ টায় পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর ১টায়। পূর্ব মেদিনীপুরের সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক রবিকান্ত সিমলাই বলেন, “নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা শেষ হয়েছে। জেলার প্রতিটি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। কোনও পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি।” এ দিন পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রে পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনও শ্রেণির পঠনপাঠন হয়নি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। আর একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy