Advertisement
E-Paper

জমেনি ঈদের বাজার, পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা

সামনেই ঈদ। ঈদের বাজারে হাল ফ্যাশনের পোশাকের পসরা সাজিয়ে প্রস্তুত ব্যবসায়ীরা। তার মধ্যে রয়েছে আনারকলি চুড়িদার। রয়েছে লঙ কুর্তিও। ব্যবসায়ীদের আশা, ঈদের ফ্যাশনে এবার বাজার মাতাবে এরাই। যদিও পুরোদমে ঈদের বাজার এখনও শুরু হয়নি। হাতে এখনও দিন দশেক সময় রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৪ ০০:৫৮

সামনেই ঈদ। ঈদের বাজারে হাল ফ্যাশনের পোশাকের পসরা সাজিয়ে প্রস্তুত ব্যবসায়ীরা। তার মধ্যে রয়েছে আনারকলি চুড়িদার। রয়েছে লঙ কুর্তিও।

ব্যবসায়ীদের আশা, ঈদের ফ্যাশনে এবার বাজার মাতাবে এরাই। যদিও পুরোদমে ঈদের বাজার এখনও শুরু হয়নি। হাতে এখনও দিন দশেক সময় রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদের বাজারে সাধারণত এক সপ্তাহ আগে থেকেই ভিড় হতে শুরু করে। ফলে ব্যবসায়ীদের আশা, দু’তিন দিনের মধ্যে জমজমাট হবে ঈদের বাজার।

দুর্গাপুজোর আগেই ঈদ। পুজোয় যেমন সকলে নতুন জামাকাপড় পরেন। তেমনি ঈদেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নতুন বস্ত্র পরেন। শাড়ি, চুড়িদার, পাঞ্জাবী থেকে জুতো - বাদ পড়ে না কিছুই। তাই ঈদ থেকেই ফ্যাশানের জগতে পরিবর্তন দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দোকান খুলে পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখনও তেমন সাড়া পাচ্ছেন। কেন? কাপড় ব্যবসায়ী শ্যাম ভুতড়ার কথায়, “এবার ঈদের বাজার লাগতে একটু দেরি হচ্ছে বলেই মনে হয়। বুঝতে পারছি না কেন? তবে দু’তিন দিনের মধ্যেই বাজারে ভিড় হবে বলেই আমাদের আশা।” একই কথা রেডিমেড পোশাক ব্যবসায়ী সুনীল কোঠারির। তাঁর কথায়, “এবার ঈদের বাজার জমে উঠতে একটু সময় লাগছে। দু’একদিন বেশ জমে উঠেছিল, তবে ফের তা পড়ে গেল। আরও দু’চারদিন দেখি।”

পুজোর কেনাকাটা নিয়ে এখনও অবশ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সেই উৎসাহও নজরে পড়েনি। তার প্রধান কারণ, হাতে এখনও ১০ দিন সময়। মহম্মদ সেলিমের কথায়, “একটা কথা বুঝতে হবে। আমাদের সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষ এখনও গরিব। কেউ অন্যের দোকানে কাজ করেন, কেউ ফুটপাথে ছোট্ট দোকান চালান। কেউ লোকের বাড়িতে রান্না করে, বাসন মাজে। মাসের মাঝখানে বেশি টাকা খরচ করার ইচ্ছে থাকলেও উপায় থাকে না। টাকা পেতে হবে তো। তাই একেবারে ঈদের কাছাকাছি সময়েই আমরা দোকানের দিকে পা বাড়ায়।” বাস্তবে সেটাই যে ঘটতে যাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই ব্যবসায়ীদের মধ্যেও কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকলেও বাজার নিয়ে আতঙ্কিত নন। তাঁরা পসরা সাজিয়ে হাজির। যেখানে আনারকলি চুড়িদার, লঙ কুর্তির পাশাপাশি জিন্স, রকমারি টি-শার্ট - সবই রেখেছেন। অপেক্ষা শুধু ক্রেতার। মেদিনীপুর বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় রায়ের কথায়, “ধীরে ধীরে বাজারে ভিড় জমছে। ঈদে তো পুজোর মতো, মারাত্মক ভিড় হয়, তেমনটা নয়। তবে যত দিন যাচ্ছে ঈদেও ফ্যাশান বাড়ছে। বাড়ছে কেনাকাটাও। আশা করছি, ঈদের কেনাকাটার ভিড় দু’একদিনের মধ্যেই লাগল বলে।”

eid marked mednipur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy