Advertisement
E-Paper

দোষীদের ফাঁসি চান নিহত কিশোরীর বাবা

কোটবাড়ের কিশোরী খুনে অভিযুক্ত যুবকেরা পুলিশি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলছে। তাই পুলিশ এ বার হেফাজতে থাকা তিন যুবকেরই শারীরিক পরীক্ষা করাল। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ রফিজুল, সহযোগী উকিল আলি ও গাড়ির চালক বিশু ঘড়াইকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিন তাদের দেহের কিছু নমুনা নেওয়া হয়েছে যা পৃথকভাবে নিহত কিশোরীর দেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৭

কোটবাড়ের কিশোরী খুনে অভিযুক্ত যুবকেরা পুলিশি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলছে। তাই পুলিশ এ বার হেফাজতে থাকা তিন যুবকেরই শারীরিক পরীক্ষা করাল। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ রফিজুল, সহযোগী উকিল আলি ও গাড়ির চালক বিশু ঘড়াইকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিন তাদের দেহের কিছু নমুনা নেওয়া হয়েছে যা পৃথকভাবে নিহত কিশোরীর দেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। তবে ইতিমধ্যেই আদালতে এই অপহরণ ও খুনের মামলার সঙ্গে গণধর্ষনের ধারা সংযুক্ত করার আবেদন জানিয়েছে বেলদা পুলিশ।

গত শনিবার সন্ধ্যায় খড়াই গ্রামের কোটবাড়ের বাড়ি থেকে বান্ধবীর ডাকে বেরিয়ে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলদার বড়মাতকাতপুরে একটি নয়ানজুলি থেকে নিহত মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দাবি করে, মেয়েটিকে খুনের পরিকল্পনা করেছে তারই সহপাঠিনী। সেও ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। নিহত মেয়েটির দাদার সঙ্গে অভিযুক্ত মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। পুলিশের দাবি, সেই আক্রোশেই বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে সহপাঠিনীকে খুনের পরিকল্পনা করে সে। খুন করার আগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিল সে, পুলিশের জেরার মুখে এ কথাও কবুল করেছে অভিযুক্ত কিশোরীর বর্তমান প্রেমিক শেখ রফিজুল।

কিন্তু গণধর্ষণের ধারা আগেই কেন যুক্ত করার আবেদন দেওয়া হল? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আইনের অনুযায়ী যে কোনও ধর্ষণের ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরাও ধর্ষকের মতোই সমান অপরাধী। এই মামলার তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে কিশোরী খুনে অভিযুক্ত ধৃত সহপাঠিনী আগেই ধর্ষনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। সে দিন রাতেই উকিল ও গাড়ির চালক বিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের থেকে জানা যায়, শেখ রফিজুল ওই কিশোরীকে খুনের আগে ধর্ষণ করেছিল। তবে ঘটনার মোড় বদলেছে। মঙ্গলবার পুলিশ হেফাজতে রফিজুল পুলিশি জেরায় জানিয়েছে সে একা নয়, বাকি দু’জনও ধর্ষণ করেছিল। এরপরই রহস্য উন্মোচনে বেলদা পুলিশ তিনজনেরই দেহের নমুনা সংগ্রহে শারীরিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ দিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবি তুলেছেন নিহত কিশোরীর বাবা। এ দিন তিনি বলেন, “আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে আমার মেয়েকে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট তার প্রমাণ দেবে। কিন্তু আমার মেয়ের নৃশংস হত্যাকারী তিন যুবক ও ঘটনার মূল ‘মাথা’ ওর বান্ধবীরও আমি ফাঁসি চাই।” পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তদন্ত যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এই মামলা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে।

juvenile murder case sheikh rafijul rape murder kharagpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy