দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ‘প্রাণভয়ে’ আত্মগোপন করেছেন তৃণমূলের নয় সদস্য। এমনই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ২ ব্লকের খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে। অনাস্থার পক্ষে থাকা তৃণমূল সদস্যেরা নিরাপত্তা চেয়ে খেজুরি থানায় পয়লা সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২২ অগস্ট খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রশান্ত প্রামাণিকের নেতৃত্বে অনাস্থা এনেছিলেন তৃণমূলের নয় সদস্য। সেই অনাস্থাকে সমর্থন করেছিলেন পঞ্চায়েতের তিন নির্দল সদস্যও। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সেই অনাস্থার উপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা। প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, অনাস্থা আনার পর থেকেই বারো জন সদস্যের বাড়িতে বাড়িতে একদল মোটরবাইক বাহিনী গিয়ে অনাস্থা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে দলীয় সদস্যেরা প্রাণভয় আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছেন।”
প্রশান্তবাবু বলছেন, “মোটর বাইক বাহিনীর লোকেরা অপরিচিত হলেও তাঁরা যেহেতু অনাস্থা নিয়ে হুমকি দিচ্ছেন, তাই তারা গ্রাম প্রধানের লোকজন বলে অনুমান।” এ ব্যাপারে খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেহানা খাতুনের মোবাইলে ফোন করা হলে, তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত বলে লাইন কেটে দেন।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৫টি আসন পায়। বাকি তিনটি আসনে জেতেন নির্দল প্রার্থীরা। গত ২২ অগস্ট খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রশান্ত প্রামাণিক-সহ নয় তৃণমূল সদস্য খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেহানা খাতুনের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের অর্থ তছরূপ, সময় মত অর্থসমিতি ও সাধারণ সভার মিটিং না ডাকা ও উপসমিতির সঞ্চালকদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ জানিয়ে খেজুরি ২ বিডিও অফিসে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। তারপর থেকেই অনাস্থার তলবি সভায় প্রধানের পক্ষ নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে বিক্ষুব্ধ সদস্যদের অভিযোগ। এর জেরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। খেজুরি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy