শ্রমিক সংগঠনের সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন সিপিএম সমর্থকের। আহত হয়েছেন আরও ২২ জন। শনিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়া থানার কেশাপাট বাজারের কাছে ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী (২২), শ্যাম দোলই (৩৫) ও জিতেন্দ্রনাথ দোলই (৫৫)। বিশ্বজিতের বাড়ি পাঁশকুড়ার মাইশোরার চকগোপাল গ্রামে। শ্যামের বাড়ি কেশাপাটের মালিদায়। আর জিতেন্দ্রনাথের বাড়ি মাইশোরা এলাকার মাঠযশোড়া গ্রামে। দুর্ঘটনায় আহত ২২ জনের মধ্যে ১৮ জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিরা কলকাতার হাসপাতাল ও কটকের নার্সিংহোমে ভর্তি। আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে পাঁশকুড়া বিডিও অফিসের কাছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাগৃহ রবীন্দ্র-নজরুল মঞ্চে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর সভা ছিল। ওই সভাতেই যোগ দিতে একটি ভাড়া করা বাসে পাঁশকুড়ার মাইশোরা ও কেশাপাট এলাকার প্রায় চল্লিশ জন সিপিএম সমর্থক এসেছিলেন। সন্ধ্যায় সভা শেষে পাঁশকুড়া থেকে ঘাটালগামী রাজ্য সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় সাতটা নাগাদ কেশাপাট বাজারের কাছে হাতিশাল গ্রামে একই দিকে যাওয়া অন্য একটি ছোট লরিকে ওভারটেক করতে গিয়ে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি উল্টে সড়কের পাশে জলভর্তি নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। বাসের ভিতরে থাকা অধিকাংশ লোকজন আটকে পড়েন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাঁশকুড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করায়। পরে তাঁদের অধিকাংশকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা যান বিশ্বজিৎ। রাতে মৃত্যু হয় শ্যাম দোলই ও জিতেন্দ্রনাথ দোলইয়ের।
জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত প্রভাস দোলই, অশোক গুই বলেন, “বাসের ভিতরে ও ছাদে সব মিলিয়ে প্রায় চল্লিশ জন ছিলেন। কেশাপাট বাজারের কিছুটা পরেই একটা ছোট লরিকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান বাস-চালক। বাসটি উল্টে নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে।” পাঁশকুড়ার সিপিএম নেতা তথা দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, “আহতদের চিকিৎসার জন্য দলীয় ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy