সম্প্রতি বহু বার ভিন্-রাজ্যে হেনস্থার শিকার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকেরা। ত্রিপুরায় রঘুনাথগঞ্জের এক পরিযায়ী শ্রমিককে নিগ্রহের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়ায় বুধবার। পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে এ দিনই মালদহের গাজলের সভা থেকে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি সন্দেহে ভিন্-রাজ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, গুজরাত, রাজস্থানে অত্যাচার করছে। এর জবাব চাই, জবাব দিতে হবে।” ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার রাতে এ রাজ্যের কোচবিহারের বক্সীরহাটেও মুর্শিদাবাদের ডোমকলের এক জন শ্রমিককে ‘বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা’ সন্দেহে মারধর করা হয় বলে দাবি।
রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক নাইম শেখ নাইম বলেন, “৩০ নভেম্বর ত্রিপুরায় বাংলাদেশি সন্দেহে নিগ্রহ করে কয়েক জন।”
কোচবিহারের বোঁচামারি গ্রামে কার্যত একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে দাবি ডোমকলের গোকুলচক গ্রামের হাসিবুল শেখের। তাঁর ক্ষোভ, “বাংলাদেশি সন্দেহেই গালাগাল ও মারধর করা হয়।” পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। বাম সমর্থক বলে পরিচিত হাসিবুলকে সাহায্য করেন কোচবিহারের সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আকিক হাসানের দাবি, “ঘটনার পিছনে রয়েছে বিজেপি।” তবে জেলা বিজেপি অভিযোগ মানেনি।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “বাংলার মানুষদের উপরে এত হিংসা যে তোমরা বাংলা ভাষায় কথা বললেই...কই গুজরাতি ভাষায় কথা বললে তো আমি আপত্তি করি না।” সিপিএমের ডোমকল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের টিপ্পনী, “পরিযায়ী শ্রমিকেরা বিজেপি বা তৃণমূলশাসিত রাজ্যে নিরাপদ নয়।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)