Advertisement
E-Paper

ধ্রুবর কাঁধে দায়িত্ব দিয়ে যুব সংগঠন ছাড়লেন মিনাক্ষী, মুখপত্রের দায়িত্ব নিয়ে বিতর্ক রুখল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট

গত শনিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে শুরু হয়েছিল যুব সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন। শেষ হল সোমবার। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের নেতা অয়নাংশু সরকার। সম্পাদক এবং সভাপতি পদে যে ধ্রুবজ্যোতি সাহা এবং অয়নাংশু বসতে চলেছেন দলের অন্দরে তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১৭:০২
Minakshi Mukherjee left DYFI, newly elected State Secretary is Dhrubajyoti Saha

(বাঁ দিকে) ধ্রুবজ্যোতি সাহা, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ভোট বাড়েনি। কিন্তু সিপিএমের মাঠে-ময়দানের আন্দোলনের সূত্রে নতুন মুখ হয়ে উঠে এসেছেন তিনি। পার্টির যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-কে নয়া পরিচিতি দিয়েছেন। সেই সূত্রে বাম জনতার মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। এ বার বয়সের কারণে সিপিএমের যুব সংগঠন থেকে বিদায় নিলেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

মিনাক্ষী ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক থাকার সময়ে সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন মুর্শিদাবাদের নেতা ধ্রুবজ্যোতি সাহা। সেই ধ্রুবর কাঁধে রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব সঁপে যুব সংগঠন থেকে বিদায় নিলেন মিনাক্ষী। ইতিমধ্যেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে জায়গা পেয়েছেন তিনি।

গত শনিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে শুরু হয়েছিল যুব সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন। সোমবার তা শেষ হয়। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের নেতা অয়নাংশু সরকার। সম্পাদক এবং সভাপতি পদে যে ধ্রুব এবং অয়নাংশু আসতে চলেছেন দলের অন্দরে তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে গোল বাধে সংগঠনের মুখপত্রের সম্পাদক কে হবেন তা নিয়ে। দক্ষিণবঙ্গের এক ‘বিতর্কিত’ নেতার নাম জোরালো ভাবে পত্রিকা সম্পাদক পদে উঠে এসেছিল। কিন্তু তাতে হস্তক্ষেপ করল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। বিতর্ক এড়াতেই হিসাবের বাইরে থাকা হাওড়ার যুব নেতা সরোজ দাসকে মুখপত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘এ ক্ষেত্রে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো হাওড়া দিয়ে হাওড়ার বিতর্ককে সাইডলাইনের বাইরে বার করা হয়েছে।’’

গত কয়েক বছরে রাজ্যের ডিওয়াইএফআই আবর্তিত হয়েছে মিনাক্ষীকে কেন্দ্র করে। ২০২৪ সালে জানুয়ারিতে ভরা ব্রিগেড জানান দিয়েছিল— তাঁর ডাকেই গড়ের মাঠ ভরে গিয়েছে। আলিমুদ্দিনের নেতারাও মানছেন আপাতত মিনাক্ষীর ছায়া থেকে বেরোতে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে যুব সংগঠনের।

তিন দিনের সম্মেলনে প্রতিনিধিদের আলোচনায় বিস্তর সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা উঠে এসেছে। বিশেষত বুথ স্তরের সংগঠনের যে ফাঁক তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। বহু জেলায় শাখা কমিটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। ফলে নেতৃত্বে নতুন মুখ এলেও ভোটের বাক্সে তার কতটা প্রতিফলন ঘটবে সেই প্রশ্ন নিয়েই শেষ হল সম্মেলন।

DYFI Minakshi Mukherjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy