ঠিক যেন কোনও হিন্দি সিনেমা। কাঁথি আদালত চত্বর থেকে পুলিশের গাড়ি করে জেল হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিচারাধীন কয়েক জন বন্দিকে। গাড়িতে তোলার আগেই ধুন্ধুমার। বোমা এবং গুলির আওয়াজ। সঙ্গে ধোঁয়া। তার মধ্যেই পালিয়ে গেল তিন দাগী আসামী। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এলাকারই এক পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে এক আসামি কর্ণ বেরাকে গুলি চালিয়ে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া এগারোটা নাগাদ পুলিশের গাড়িতে করে কাঁথি আদালত চত্বর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল চার বিচারাধীন আসামিকে। কিন্তু, গাড়িতে তোলার আগেই দুই যুবক এলোপাথাড়ি বোমা ছুড়তে থাকে। সঙ্গে গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। মুহূর্তের মধ্যে গোটা চত্বর ধোঁয়ায় ভরে যায়। গুরুতর জখম হন তিন পুলিশ কর্মী। আর তার মধ্যেই পালিয়ে যায় কর্ণ বেরা, শেখ মুন্না এবং সুরজিৎ গুড়িয়া নামের তিন আসামি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যে যুবকরা এসেছিল তাদের হাতে বোমার ব্যাগ এবং পিস্তল ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন ওই বন্দিদের নিরাপত্তারক্ষীরা। কয়েক জন বোমায় জখম হন। আর সেই ফাঁকেই তারা পৌঁছে যায় পোস্ট অফিস মোড়ে। এক যুবকের বাইক ছিনতাই করে তাতে উঠে পড়েন কর্ণ। বাকি দুই বন্দি এ দিক ও দিক দৌড়ে পালায়। কিন্তু, বাইকে ওঠার পর সেটা আর স্টার্ট হয়নি। বেশ কয়েক বারের চেষ্টায় স্টার্ট না হওয়ায় তিন জনেই দৌড়ে পালায়।