Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
attempted suicide

হোটেলে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মা ও তিন ছেলের

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ও তিন ছেলে ভালই আছেন। কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে তাদের চার জনের চিকিৎসা চলছে।

কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ।—নিজস্ব চিত্র

কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ।—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ১৯:৪১
Share: Save:

হোটেলের মধ্যে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করল বৃদ্ধ মা-সহ তিন ছেলে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপ থানার মায়াপুরে।

গভীর রাতে নবদ্বীপ থানার পুলিশ হোটেলের ঘর থেকে চার জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন ভাই বর্ধমানে একই সঙ্গে ডিমের ব্যবসা চালান। বেশ কিছু দিন ধরে তাদের ব্যবসা ভাল চলছিল না। বাজারে অনেক টাকাপয়সা ধার হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। ব্যবসা মন্দার কারণে প্রতিনিয়ত সংসারের অভাব অনটন লেগেই ছিল।

বর্ধমান নতুনগঞ্জের বাড়ি থেকে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ মা নমিতা নাগকে নিয়ে তিন ছেলে হরিদাস নাগ, দেবদাস নাগ এবং সৌমেন নাগ— চার জন মিলে মায়াপুর হোটেলে চলে আসেন। মঙ্গলবার বিকালে মা-সহ তিন ছেলে হোটেলের ঘরে প্রথমে কীটনাশক খান। বাড়ির লোকজন জানতেন কলকাতায় গিয়েছেন ওই চার জন। ফোনেও তাঁদের যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন মায়াপুরে হোটেলে বিষ খেয়েছেন মা এবং তিন ছেলে।

আরও পড়ুন: মেয়ে হওয়ায় বঁটির কোপ, অ্যাসিড

এর পরেই তাঁরা বিষয়টি বর্ধমান থানায় জানান। বর্ধমান থানার পুলিশ যোগাযোগ করে নবদ্বীপ থানার সঙ্গে। মঙ্গলবার গভীর রাতে নবদ্বীপ থানা মায়াপুর ফাঁড়ির পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মায়াপুরের বিভিন্ন হোটেলে খোঁজ খবর শুরু করে। অবশেষে ফাঁড়ির পুলিশ হোটেল চিহ্নিত করে গভীর রাতে হোটেলের ঘর থেকে তাঁদেরকে উদ্ধার করে।

প্রথমে তাঁদের মায়াপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ও তিন ছেলে ভালই আছেন। কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে তাদের চার জনের চিকিৎসা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE