বকশিশ না পেয়ে হাসপাতালে এক প্রসূতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুই মহিলার বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের ওই ঘটনায় প্রসূতির পরিবার জানান, তাঁদের কাছে অভিযুক্তরা নিজেদের হাসপাতালের আয়া বলে দাবি করেছিলেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার ভেদুয়া গ্রামের বধূ খালেদা বিবিকে শনিবার দুপুরে বিষ্ণুপুর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যায় নর্মাল ডেলিভারি হয় তাঁর। খালেদার অভিযোগ, জ্ঞান ফিরতেই ছেলে হওয়ার আনন্দে তাঁর কাছে ছ’শো টাকা চান দুই মহিলা। দিতে না পারায় তাঁর বাঁ চোখে ঘুষি মারা হয়। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘আমি চারশো টাকা দিতে চেয়েছিলাম। ওরা রাজি হয়নি। আমায় মারধর করে।’’
এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মহকুমাশাসকের (বিষ্ণুপুর) কাছে অভিযোগ জানান খালেদার স্বামী। তিনি বলেন, ‘‘দিনমজুরি করে সংসার চলে। অত টাকা দিতে না পারায় লেবার রুমের আয়ারা স্ত্রীকে মারধর করে। প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছি।’’ মহকুমাশাসক মায়ূরী ভাসু বলেন, ‘‘হাসপাতাল সুপারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ সুপার উপস্থিত না থাকায় এ দিন সকালে প্রসূতি বিভাগে যান বিষ্ণুপুর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নিবেদিতা মিশ্র। তিনি জানান, সন্দেহভাজনদের ধরে খালেদাকে দিয়ে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই দুই মহিলার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে. বিষ্ণুপুর থানার দাবি, এমন কোনও অভিযোগ তারা পায়নি।
নিবেদিতাদেবীরও দাবি, বিষ্ণুপুর হাসপাতালে আয়া নেই। কেউ কেউ রোগীর আত্মীয় সেজে ঢুকে পড়েন। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে কী করে এই ঘটনা ঘটছে, তা দেখা হচ্ছে। কিন্তু খালেদার স্বামী অভিযোগে ওই দু’জন মহিলাকে লেবার রুমের আয়া বলে উল্লেখ করেছেন। রোগীর বাড়ির লোক সেজে এলেও লেবার রুম পর্যন্ত কী ভাবে বাইরের কেউ যেতে পারেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy