Advertisement
E-Paper

তিলোত্তমার বইয়ে জুড়ল স্প্যানিশ পাতা, মমতার মাদ্রিদ সফরে দুই বইমেলার ‘মউ’ স্বাক্ষরিত

‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’-এর দুই কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশু দে স্পেন এসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রকাশনাকে বাণিজ্যের আওতায় নিয়ে আসতে চান মমতা।

অনিন্দ্য জানা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৫১
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের প্রতিনিধি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিক থেকে চতুর্থ) এবং সুধাংশু দে (বাঁ দিক থেকে পঞ্চম)-র সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করলেন মাদ্রিদ বইমেলার প্রতিনিধিরা

পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের প্রতিনিধি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিক থেকে চতুর্থ) এবং সুধাংশু দে (বাঁ দিক থেকে পঞ্চম)-র সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করলেন মাদ্রিদ বইমেলার প্রতিনিধিরা —নিজস্ব চিত্র।

২০২৩ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় থিম দেশ ছিল স্পেন। এ বার তিলোত্তমার বইয়ের পাতায় পাকাপাকি ভাবে জুড়ে গেল স্প্যানিশ অধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাদ্রিদ সফরে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’ (কলকাতা বইমেলার আয়োজক) এবং মাদ্রিদ বইমেলার মধ্যে ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হল বৃহস্পতিবার।

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দু’দেশের লেখক, পাঠক, বইপ্রেমীদের মধ্যে যাতে ধারাবাহিক ভাবে দেখা, কথা এবং চিন্তাভাবনার আদানপ্রদান হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শুধু তাই নয়, বইয়ের প্রচার, প্রসার, বিপণনের ক্ষেত্রে যৌথ কমিটিও গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’-এর দুই কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশু দে স্পেন এসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রকাশনাকে বাণিজ্যের আওতায় নিয়ে আসতে চান মমতা। রাজ্যে লগ্নি আনার লক্ষ্যেই মমতার এই সফর। বিনিয়োগ টানতে সেখানে নতুন দিকে আলোকপাত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিদিবের কথায়, ‘‘বইজগৎকে এই সম্মান আগে কখনও কোনও সরকার দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী যে এত বড় বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আসার সুযোগ দিয়েছেন, সেটা অকল্পনীয় এবং অভাবনীয়!’’

অন্য দিকে, সুধাংশু বলেন, ‘‘প্রকাশনাও যে একটা শিল্পের মধ্যে পড়ে, সেটা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এই প্রথম অনুভব করতে পারছি।’’

ঘটনাচক্রে, গত কলকাতা বইমেলার ‘থিম কান্ট্রি’ ছিল স্পেন। ফলে সেখানকার প্রকাশনা সংগঠনের সঙ্গে আগেই চেনাশোনা রয়েছে কলকাতা বইমেলার কর্তাদের। ত্রিদিব জানাচ্ছেন, মাদ্রিদে তাঁদের সঙ্গে স্পেনের প্রকাশকদের বৈঠক হয়েছে। মাদ্রিদ বইমেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রথম, অনুবাদ স্বত্ব। দুই, স্পেনীয় অনুদান এবং তৃতীয় গ্রন্থস্বত্ব। ত্রিদিবের কথায়, ‘‘বিদেশি বই বাংলায় ছাপতে গেলে ভারতীয় ভাষার গ্রন্থস্বত্ব প্রয়োজন হয়। সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং সমঝোতা হওয়া জরুরি ছিল।’’

madrid Kolkata Book fair
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy