বিজেপি সুকান্তর শহর বালুরঘাটেও হেরেছে। সুকান্তর ওয়ার্ডেও জিততে পারেনি। একই ফল হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের শহরেও। এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরেও সুকান্ত ও শমীকের এক জবাব, ‘‘এই ফলাফল আমরা গ্রহণ করছি না।’’
হার মেনে নিতে নারাজ সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র
১০৮ পুরভোটের গণনার শেষে বিজেপি-র হাতে রইল পেন্সিল। একটি পুরসভাও দখলে নিতে পারেনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যে ২২৭৪ ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি-র জয় মাত্র ৬৩টিতে। মাত্রই। তবে এই ফলকে গ্রহণ করতেই রাজি নয় রাজ্য বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই ফলাফল জনতার রায় নয়। রাজ্যের মানুষ এই রায় দেয়নি। তৃণমূল গায়ের জোরে যে ভোট করেছে তার ফল।’’ একই সুর রাজ্যের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও। তিনি বলেন, ‘‘এই ফলাফল বিজেপি গ্রহণ করছে না। তাই আমরা কত শতাংশ ভোট পেয়েছি, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছি কি না সে সব নিয়ে আমরা আলোচনা বা পর্যালোচনা করতেও চাই না।’’ কিন্তু যে ৬৩ আসনে বিজেপি জিতেছে সেগুলিও কি গ্রহণ করবেন না? উত্তরে শমীক বলেন, ‘‘যাঁরা জিতেছেন, জিতেছেন। কিন্তু সার্বিক ভাবে এই ফলাফল আমরা গ্রহণ করছি না।’’
পুরভোটের ফলে যা দেখা গিয়েছে তাতে ১০৮ পুরসভার মধ্যে তৃণমূল একাই জিতেছে ১০২টিতে। সিপিএম পেয়েছে একটি। দার্জিলিংয়ে জিতেছে নতুন দল হামরো পার্টি। আর বাকি চারটি ত্রিশঙ্কু। তাহেরপুরে বামেরা নিজেদের দখল ধরে রাখতে পারলেও বিজেপি খাতাই খুলতে পারল না কেন? এর উত্তরে সুকান্ত বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাস ছিল বিজেপি-র উপরে। বেছে বেছে বিজেপি-র উপরেই হামলা চলেছে। সিপিএম তৃণমূলের আক্রমণের লক্ষ্যে ছিল না।’’ কোথাও কোথাও তৃণমূল বামেদের হয়ে ফলস ভোট দিয়েছে বলেও দাবি করেন সুকান্ত।
বিজেপি সুকান্তর শহর বালুরঘাটেও হেরেছে। সুকান্তর ওয়ার্ডেও জিততে পারেনি। একই ফল হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের শহরেও। এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরেও সুকান্ত ও শমীকের এক জবাব, ‘‘এই ফলাফল আমরা গ্রহণ করছি না।’’
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলেও ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপি-র। কিন্তু সে বারও ৭৭টি আসনে জিতে প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি মেলায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ছিল গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু বুধবারের হারের পরে যেন মুষড়ে পড়া চেহারা পদ্মশিবিরের। রাজ্য বিজেপি দফতরে শমীক ছাড়া কোনও প্রথমসারির নেতারই দেখা পাওয়া যায়নি। বালুরঘাট থেকে ভার্চুয়ালি সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেন সুকান্ত। কথা ছিল, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাজির থাকবেন। কিন্তু শেষ বেলায় জানা যায়, তিনি দিল্লি চলে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy