গলার স্বর ভাল করার নামে ছাত্রীকে একের পর এক ‘হোমিওপ্যাথির গুলি’ খাওয়াতেন গানের শিক্ষক। কিন্তু সেই ওষুধ খেয়ে ক্লাসেই অচৈতন্য হয়ে পড়ত অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীটি। সেই সুযোগে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করতেন ৫৯ বছরের ‘গানের মাস্টার’! এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দাসপুর থানা এলাকায়। শনিবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তাঁর কড়া শাস্তি দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক বছর ধরে প্রবীণ শিক্ষকের কাছে গানের তালিম নিচ্ছিল নাবালিকা। পরিবারের অভিযোগ, ওই গানের শিক্ষক মাঝেমধ্যেই ‘হোমিওপ্যাথির ওষুধ’ বলে কিছু বড়ি দিতেন ছাত্রীকে। বলতেন, ‘এগুলো খেলে গলার স্বর ভাল হয়।’ শিক্ষকের কথা মতো গানের ক্লাসে ওষুধ খেয়ে মেয়েটি অচৈতন্য হয়ে পড়ত। সেই ‘সুযোগে’ শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ। মেয়েটির পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ‘‘ওই ওষুধ খাবার পর থেকে ঝিমিয়ে থাকত ও। গানের ক্লাস করে বাড়ি ফিরে ঠিক মতো কথা বলত না। কাছেই ওর মামাবাড়ি। শনিবার ওর মা-বাবা ওকে সেখানে পাঠিয়ে দেয়।’’
জানা গিয়েছে, মামাবাড়িতেই মেয়ে সব খুলে বলে অভিভাবকদের। সে জানায়, গলার স্বর ভাল করার জন্য ওকে ওষুধ খেতে দিত শিক্ষক। তার পর তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হত। কয়েক বার ওই জঘন্য কাজ করেছে ৫৯ বছরের ‘গানের মাস্টার।’
আরও পড়ুন:
শনিবার রাতে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে দাসপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রবিবার ধৃতকে ঘাটাল মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ‘নির্যাতিতা’র শারীরিক পরীক্ষা-সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।