বাংলাদেশের দম্পতির নাম রয়েছে এ রাজ্যের ভোটার তালিকায়। এই অভিযোগ নিয়ে বিডিও-র দ্বারস্থ হল বিজেপি। সোমবার ওই ঘটনায় শোরগোল উত্তর ২৪ পরগনায় বাগদায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অন্য দিকে, ওই বাংলাদেশি দম্পতির পুত্রবধূর দাবি, তাঁরা এ দেশের বাসিন্দা। কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ি বাংলাদেশেই থাকেন। দু’জনের নাম কী ভাবে ভোটার তালিকায় উঠেছে, তা তাঁদের অজানা।
বাগদা ব্লকের সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের নলদুগারি নিচুপাড়া পার্টে-র ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে জনৈক সোহরব তরফদার ও তার স্ত্রী রূপা তরফদারের। স্থানীয় বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস সম্প্রতি বিডিও-র কাছে ৭ নম্বর ফর্ম জমা দিয়ে ওই দুই ভোটারের নামে অভিযোগ করেন। তিনি জানান, এ দেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকা সোহরব এবং রূপা আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। যশোর জেলার বেনাপোলের ভোটার তাঁরা। এখন সেখানেই থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশি দম্পতি কী ভাবে বাংলার ভোটার হলেন, সেটা খতিয়ে দেখা হোক। পাশাপাশি তিনি এই ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। অমৃতলাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বাসিন্দারা ভারতের ভোটার হলেন কী ভাবে? এখানেও তৃণমূলের হাত আছে।’’
স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিধান হাওলাদারও একই কথা বলছেন। তিনি জানান, সোহরব ও তাঁর স্ত্রী রুপা বাংলাদেশের বাসিন্দা। কিন্তু ভারতীয় ভোটার, এটা জানবার পরে তাঁরাই প্রথম অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন:
শাসকদল অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি নিউটন বালা বলেন, ‘‘বিডিও-র কাছে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি বিডিওসাহেব খতিয়ে দেখবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলই এই সমস্ত ভুয়ো ভোটার ধরার কাজ শুরু করেছে। এখন বিজেপি বাজারে ভেসে থাকার জন্য এই সমস্ত অভিযোগ করছে।’’
অন্য দিকে, বাংলাদেশি দম্পতির ছেলে-বৌমা রয়েছেন বাগদাতেই। সোহরাবের বৌমা নাজমুর তরফদার স্বীকার করেছেন, তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি এখনও বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা। কিন্তু তাঁদের নাম কী ভাবে ভোটার তালিকায় এল, সে সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানেই (উত্তর ২৪ পরগনা জেলা) থাকি। তবে শ্বশুর-শাশুড়ি দু’জনেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। বৈধ পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের নাম কী ভাবে ভোটার তালিকায় উঠেছে, জানি না।’’