Advertisement
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঝুঁকি এড়াতে বলা হল দেহরক্ষীদের

বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বিধায়ক, সাংসদ ও মন্ত্রীদের দেহরক্ষীদের নতুন করে তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সিনিয়র পুলিশকর্তারা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৮
Share: Save:

কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় নড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। পুলিশকর্তাদেরই মাথাব্যথা বেশি। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বিধায়ক, সাংসদ ও মন্ত্রীদের দেহরক্ষীদের নতুন করে তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সিনিয়র পুলিশকর্তারা।

নবান্নের এক কর্তা জানান, বিধায়ক খুনের ঘটনা খুবই উদ্বেগের। যাতে এমন ঘটনা আর না-ঘটে, সেই জন্য জনপ্রতিনিধিদের রক্ষীদের সচেতন করা হচ্ছে। জেলায় পুলিশ সুপারেরা এবং কমিশনারেটগুলিতে সিনিয়র অফিসারেরা তাঁদের ডেকে সতর্ক করে দিচ্ছেন। সামনে ভোট, ফলে ঝুঁকির মাত্রা এখন অনেক বেশি।

নবান্নের খবর, দেহরক্ষীদের সচেতন করার পাশাপাশি কাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি, তা নতুন করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে নেতা-মন্ত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী, অরূপ বিশ্বাস, অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতাদের নিরাপত্তার ফাঁকফোকর আছে কি না, তা খতিয়ে দেখেছে রাজ্য নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিটি। সেই কমিটি পুলিশ সুপারদের কাছ থেকে জেলা স্তরের নেতাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সবিস্তার রিপোর্ট চেয়েছে। কয়লা, বালি খাদান, গরু পাচার, জমি মাফিয়া এবং ইমারতি সামগ্রীর কারবারিদের জোর যেখানে বেশি, সেই সব জায়গার বিধায়ক-সাংসদদের নিরাপত্তার ঝুঁকিই সব চেয়ে বেশি বলে জানাচ্ছেন নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিটির এক সদস্য।

আপাতত দেহরক্ষীদের পালা করে ডাকছেন পুলিশ সুপারেরা। কয়েকটি বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। এখন থেকে বিধায়ক-সাংসদদের গতিবিধি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে সর্বক্ষণ জানাতে হবে দেহরক্ষীদের। বিধায়ক-সাংসদ হঠাৎ করে কোথাও যেতে চাইলে তাঁদের নিষেধ করতে হবে। একান্তই যেতে হলে স্থানীয় থানাকে জানিয়ে তবেই দেহরক্ষীরা নেতাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যেতে পারবেন। রাতবিরেতে কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে দেহরক্ষীদের বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে বলেছে প্রশাসন। দেহরক্ষীরা অনেক সময় ‘ম্যানেজ’ করে ছুটি নিয়ে চলে যান। বিধায়ক-মন্ত্রীরা তাঁদের যেতে বাধা দেন না। এখন থেকে ম্যানেজে ছুটি যাওয়াও বন্ধ বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এক কর্তার কথায়, ‘‘সব মিলিয়ে ‘স্টেট প্রোটেক্টি লিস্ট’ অনুযায়ী হাজার তিনেক পুলিশকর্মী ঘুরিয়েফিরিয়ে দেহরক্ষীর কাজ করেন। স্থানীয় থানা ও পুলিশ সুপারের অফিস নেতাদের গতিবিধি সারা ক্ষণ জানতে পারলেই নিরাপত্তা অনেকটা নিশ্চিত করা যায়। সেটাই দেখবেন দেহরক্ষীরা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Krishnaganj TMC MLA Murder Satyajit Biswas TMC Nabanna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy