আগামী সোমবার থেকে তিন দিন ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় আলু ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে আরও এক দফা আলুর লরি ধরপাকড় শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, শুক্রবার সারা দিনে আলু বোঝাই প্রায় ৩০টি লরি আটক করা হয়েছে। তবে এতে যে পরিস্থিতির মোকাবিলা সম্ভব নয়, সে ব্যাপারে এক রকম নিশ্চিত হয়ে আজ, শনিবার নবান্নে ফের বৈঠকে বসছেন সরকারি কর্তারা। প্রয়োজনে হিমঘর থেকে আলু বাজেয়াপ্ত করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের নামে গত এক মাসে রাজ্য সরকারের কাণ্ডকারখানা দেখে এই পর্বেও তেমন ভরসা রাখতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতা। এর আগে আলুু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক বার বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার। ভিন্রাজ্যে যাওয়ার পথে আলুবোঝাই লরি বাজেয়াপ্ত করে মিলনমেলায় আলু রাখা হয়েছে। কয়েক হাজার টন আলু পচে গিয়েছে। এ সব সত্ত্বেও বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ২২-২৩ টাকা কেজিতে। রাজ্য সরকার ১৪ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির ফরমান জারি করলেও সেই পচা আলুর ক্রেতা মেলেনি সে ভাবে।
এই পরিস্থিতিতে ধর্মঘট নিয়ে আলু ব্যবসায়ীদের অনড় মনোভাবে সরকারের চিন্তা বেড়েছে। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে প্রথমে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ ও কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। পরে মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র আর এক দফা বৈঠকে বসেন কৃষি দফতরের আধিকারিক ও পুলিশের সঙ্গে। বৈঠকেই স্থির হয়, হিমঘর থেকে ব্যবসায়ীরা আলু বার না করলে প্রয়োজনে সরকার তা বাজেয়াপ্ত করবে। সেই আলু সরকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করবে। আজ, শনিবার কৃষি বিপণন দফতরের সচিব সুব্রত বিশ্বাস দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ফের বৈঠক করবেন।