দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র
স্কুলবাস দুর্ঘটনায় জখম হল ১০ জলন পড়ুয়ারা। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে বেলডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বেলডাঙার গোপীনাথপুরের কাছে। এ দিন বহরমপুরের বৈরগাছির ওই স্কুলে পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে জনা পঞ্চাশ পড়ুয়া ওই বাসে চেপে বাড়ি ফিরছিল। আচমকা বাসের স্টিয়ারিং লক হয়ে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। সেটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্যাঙ্কারকে ধাক্কা দেয়। তবে গতি বেশি না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচে বাসটি।
দুর্ঘটনায় সবথেকে বেশি আঘাত পেয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির শৌকর্য সরকার। তার মাথায় আঘাত লেগেছে। এ ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির অঙ্গিরা ভট্টার্চায, দ্বিতীয় শ্রেণির ঐশরী ঘোষ, দশম শ্রেণির রাহুল দাসের জখম লেগেছে। যদিও অভিভাবকদের অভিযোগ, বাসের চালক মদ্যপ অবস্থায় বাস চালান। এ দিনও মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। অভিভাবক গ্রন্থনা ভট্টার্চায বলেন, ‘‘আমরা অন্তত বার চারেক তাঁর বিরুদ্ধে মদ খেয়ে বাস চালাবার অভিযোগ তুলেছি। কিন্তু কেন জানি না স্কুল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আজও সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা।’’ অন্য এক অভিভাবক বিক্রম ঘোষ বলেন,‘‘গত দু’মাস আগে বাস চালকের মদ খাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। সে কথা আমরা স্কুলকে জানিয়েছি।’’ এই প্রসঙ্গে জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক চিরন্তন প্রামাণিক বলেন, ‘‘এই ধরনের স্কুলবাসের ক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে স্কুল নিজে না চালিয়ে কোনও সংস্থা বা ব্যক্তিকে বাস চালানোর দায়িত্ব দেয়। এ ক্ষেত্রে কী ঘটেছে দেখতে হবে।’’ স্কুলের ডিরেক্টর প্রকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাটি খুবই সামান্য। ঘটনার কথা শুনেই অন্য গাড়ি পাঠিয়েছিলাম। পড়ুয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসা স্কুলেই করা হয়েছে। চালককে সাবধান করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy