প্রতীকী ছবি।
ভরা ক্লাসেই আচমকা ছাদের চাঙড় খসে পড়ে গুরুতর জখম হল চার ছাত্র। সোমবার হরিহরপাড়ার খিদিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই ঘটনায় জখম ছাত্রদের স্থানীয় বহরান প্রাথমিক স্বাস্থ্যেকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছন হরিহরপাড়ার বিডিও। আসেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও। ওই ক্লাস পঠন-পাঠন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম দিন। স্কুল খুলেছে, প্রার্থনার পর নাম ডাকার কাজও শেষ। সকাল ১১ টা ২০ মিনিট নাগাদ স্কুলের প্রথম শ্রেণির ঘর থেকে জোড়াল শব্দ। শিক্ষকেরা ছুটে গিয়ে দেখেন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে বেশ কয়েক জন ছাত্র। ঘর ময় ছড়িয়ে আছে ভাঙা চাঙড়ের টুকরো।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢালাইয়ের পরে প্লস্টিকের আবরণ খোলা হয়নি। আধ ভেজা সেই চাঙড়ই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। গুরুতর জখম নঈম শেখ বলছে, ‘‘হঠাৎ শব্দ হল। মাথায় কী যেন পড়ল। আর মনে নেই।’’ বছর ছয়েকের ওই শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। তার সিটি স্ক্যান করানো হবে। জখম অন্য ছাত্রেরা সরিফুল শেখ, সাহিন শেখ ও রিয়াজ শেখ।
খিদিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অতনু সরকার বলেন, ‘‘ক্লাস সবে শুরু হয়েছিল। আচমকা শব্দ। আমরা ছুটলাম প্রথম শ্রেণির ঘরে। সেখানে গিয়ে দেখলাম সিলিং এর প্লাস্টার ভেঙে পরে ফ্যানের উপরে। ভাগ্যক্রমে ফ্যানটা ভেঙে পড়েনি। তা হলে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটত।’’
বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল বলেন, ‘‘আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। ছাত্রদের চিকিৎসার খরচ পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দেবে। সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুল ঘরের ছাদে যেখানে ভেঙেছে সেখানে প্লাস্টার করার আগে প্লাস্টিকের আস্তরণ খোলা হয়নি কেন তারও খোঁজ নিচ্ছি। সরকারি ভাবে তদন্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy