মাদ্রাসায় ছাত্রকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ধৃত পাঁচ সাবালক পড়ুয়াকে চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল জঙ্গিপুর আদালত। বাকি সাত জন নাবালক হওয়ায় তাদের ১৪ দিন বহরমপুরের সরকারি হোমে রাখতে বলা হয়েছে।
সোমবার রাতে রঘুনাথগঞ্জে একটি খারেজি মাদ্রাসায় মোবাইল চোর সন্দেহে মামুন শেখ নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার সকালে ওই মাদ্রাসারই ১২ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান মণ্ডল তাদের নামে রঘুনাথগঞ্জ থানায় নির্দিষ্ট ভাবে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার আদালতে দাঁড়িয়ে মৃতের বাবা বলেন, “গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে আমার ছেলেকে পেটানো হয়েছে। পুলিশকে আমি জানিয়েছি। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।” এ দিনও মাদ্রাসায় ক্লাস বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আবু তোরাব জানান, “এখনও ক্লাস শুরু করার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”
রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সৈকত রায়ের মতে, শুধু মোবাইল চুরির জন্য ছাত্রটিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছিল, এমনটা ঠিক না-ও হতে পারে। ধৃতদের জেরা করে এখন পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে এর পিছনে অন্য ঘটনাও থাকতে পারে। তা বিশদে জানতেই সাবালক অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।