Advertisement
E-Paper

সারা দেহে কোপানোর দাগ

তাঁরাই বস্তা টেনে পাড়ে তোলেন। উদ্ধার হয় এক কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। দেহে ধারাল কোপানোর দাগ। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৯
বর্ষা দাস। —নিজস্ব চিত্র।

বর্ষা দাস। —নিজস্ব চিত্র।

পচা গন্ধ বার হচ্ছিল বস্তা থেকে, আর একটি দিক ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়েছিল পায়ের অংশ। সোমবার সকালে চাকদহের ধনিচা এলাকায় একটি পুকুরে সেই বস্তা ভাসতে দেখেন এলাকার মানুষ। তাঁরাই বস্তা টেনে পাড়ে তোলেন। উদ্ধার হয় এক কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। দেহে ধারাল কোপানোর দাগ।

মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, নিহতের নাম বর্ষা দাস। বয়স সতেরো। বাড়ি চাকদহ থানার মদনপুরের আলাইপুর জমাদারপাড়া এলাকায়। সে মদনপুর কেন্দ্রীয় আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। বর্ষা নিখোঁজ হওয়ায় বাড়ির লোক থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার পর কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয়। মৃতদেহের ছবি পুলিশ হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায় বর্ষার বাড়ির লোকের কাছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, খুনের পিছনে প্রেমঘটিত কারণ থাকতে পারে। অভিযোগ, একাধিক ছেলের সঙ্গে বর্ষার সম্পর্ক ছিল।

কল্যাণী ব্লকের মদনপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলাইপুর জমাদারপাড়ায় বাড়ি বর্ষাদের। সে বাড়ির সকলের ছোট। জামাইবাবু ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, “ওর সঙ্গে কারও কোনও সম্পর্ক থাকলেও আমাদের সেটা জানা ছিল না।” স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার মনসা পুজোর দিন বিকেলে পুজা দাস নামে এক বান্ধবীর সঙ্গে বর্ষা টিউশনে গিয়েছিল। বর্ষার বান্ধবী পুজার কথায়, ‘‘সে দিন স্যরের ঘরে বসে আমরা নোট লিখছিলাম। বর্ষার মোবাইলে একটা ফোন আসে। কথা শেষ করে ও জঙ্গলগ্রামে মামার বাড়ি যাচ্ছে বলে চলে যায়।’’ পূজা বলেন, ‘‘একটা ছেলে বর্ষাকে উত্ত্যক্ত করত। তাকে চিনি না। অন্য একটা ছেলের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিল বলে জানতাম।”

Ranaghat Dead body Murder রানাঘাট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy