Advertisement
০৫ মে ২০২৪

রূপান্তরকামীদের ভর্তি শুরু এ মাসেই

তারই পদ্ধতি এবং ব্যবহারিক বিভিন্ন দিক নিয়ে শুক্রবার দুপুরে, বহরমপুরে ‘কালেক্টরেট ক্লাব হলে’ বসল আলোচনা। ইগনু তো বটেই, সে আলোচনায় ছিলেন রুপান্তরকামীদের সংগঠন, ‘মধ্য বাংলার সংগ্রাম’-এর কর্তারা।

শিক্ষা-শিবির: শুক্রবার বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

শিক্ষা-শিবির: শুক্রবার বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০৩:০৫
Share: Save:

ইন্দিরা গাঁধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (ইগনু) কর্তৃপক্ষ তাঁদের পড়াশোনার ফি মকুব করে দিয়েছিল আগেই। নির্দেশিকা জারি করে, সে সিদ্ধান্ত জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল— কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার, মেডিক্যাল অফিসারের সার্টিফিকেট বা আধার কার্ড দেখাতে পারলেই রূপান্তরকামীদের ফি দেওয়া থেকে অব্যাহতি মিলবে।

তারই পদ্ধতি এবং ব্যবহারিক বিভিন্ন দিক নিয়ে শুক্রবার দুপুরে, বহরমপুরে ‘কালেক্টরেট ক্লাব হলে’ বসল আলোচনা। ইগনু তো বটেই, সে আলোচনায় ছিলেন রুপান্তরকামীদের সংগঠন, ‘মধ্য বাংলার সংগ্রাম’-এর কর্তারা। ইগনুর রঘুনাথগঞ্জের রিজিওনাল ডিরেক্টর শান্তনু মুখোপাধ্যায় সভায় হাজির রূপান্তরকামীদের বিভিন্ন প্রশ্নরে জবাব দেন।

বহরমপুরের বাসিন্দা, কাঞ্চন রায়, বলেন, “আমি রুপান্তরকামী হওয়ার পর বহরমপুরের একটি কলেজে স্নাতকত্তোরে কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। পরিবার দূরে ঠেলে দিয়েছিল।’’ মাঝপথে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, ইগনু পড়াশুনার জন্য ফি মুকুব করায় তার মত অনেকেই এ বারে পড়াশুনা করতে পারবেন। শহরের কাশিমবাজার এলাকার সোনাল দে নিজেকে রুপান্তরকামী হিসেবে চিনিয়ে দেন। সোনাল বলেন, ‘‘২০১৫ সালে বহরমপুরের একটি স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর শহরের একটি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু এমন উত্যক্ত করা শুরু করল অন্যরা, পড়াশুনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম।’’ ইগনুর নির্দেশিকা তাঁরর পড়াশুনার ক্ষেত্রে আশার আলো জাগিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE