বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে পাঁচ জনের। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাজি কারখানাগুলিতে হানা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। নদিয়ার কল্যাণী বিস্ফোরণকাণ্ডের পর রানাঘাট পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন মোট তিন জন।
দিন কয়েক আগে কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। আগুনে ঝলসে গিয়ে মৃত্যু হয় চার মহিলা শ্রমিকের। পরে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আরও এক জন মারা গিয়েছেন। ওই ঘটনায় বাজি কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনার পর জায়গায় জায়গায় অবৈধ বাজি কারখানার সন্ধানে হানা শুরু করে পুলিশ। শনিবার অন্তত ৪০টি জায়গায় অভিযান চালায় রানাঘাট পুলিশ জেলার কয়েকটি দল। বিধানপল্লি এলাকার তিনটি জায়গা থেকে প্রায় ৪০ কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে।
কল্যাণী থানা এলাকা ছাড়াও চাকদহ থানার চাঁদুরিয়া মালোপাড়া থেকে সাড়ে নয় কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার হয়। একই সঙ্গে অভিযান হয়েছিল গাংনাপুর থানা এলাকায়। সেখানে বিবেকানন্দপল্লি এলাকা থেকে পাঁচ কেজি বেআইনি বাজি পেয়েছে পুলিশ। ওই তিনটি জায়গা থেকে তিন জনকে পাকড়াও করা হয়।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম উত্তম দাস, অভিজিৎ হালদার এবং রাজু শীল। উত্তম কল্যাণীর রথতলা বিধানপল্লির বাসিন্দা। অভিজিৎ চাকদহের মালোপাড়ায় থাকেন। রাজুর বাড়ি গাংনাপুরের বিবেকানন্দপল্লিতে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আর কোথায় কোথায় বেআইনি বাজি মজুত রয়েছে, কারা কারা বেআইনি বাজি কারবারে যুক্ত, তার খোঁজে রয়েছে পুলিশ।