বৈবাহিক জীবনের পনেরো বছর আড়ম্বরে উদ্যাপন নয়। বরং সেই আয়োজনের খরচের বদলে বেশ কিছুটা টাকা ছোট্ট অস্মিকা দাসের চিকিৎসার জন্য তার মা-বাবার হাতে তুলে দিলেন শিক্ষক দম্পতি।
আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেই ওই দম্পতি জানতে পারেন, রানাঘাটের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভঙ্কর দাসের এক বছরের মেয়ে অস্মিকা বিরল রোগে আক্রান্ত। ১৬ কোটি টাকার ইঞ্জেকশনই স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারবে অস্মিকাকে। সেই জন্য ১৫তম বিবাহবার্ষিকীতে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে সেই টাকা চিকিৎসার জন্য দেওয়ার কথা ভাবেন ওই দম্পতি। শুক্রবার বিকেলে দশ হাজার টাকা ওই শিশুকন্যার পরিবারের হাতে তুলে দেন ফুলিয়া বিদ্যামন্দির স্কুলের বাংলার শিক্ষক সমীরকুমার দাস এবং তাঁর স্ত্রী তথা হবিবপুর হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা অরুন্ধতী দাস মণ্ডল। যদিও এ দিন অস্মিকা ও তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় অস্মিকার ঠাকুরদা নারায়ণচন্দ্র দাসের হাতেই আর্থিক সাহায্য তুলে দেন দম্পতি।
২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম অস্মিকার। চার মাস পর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, সে 'স্পাইনাল ম্যাসকিউলার অ্যাট্রফি'-তে (টাইপ-১) আক্রান্ত। ১৬ কোটি টাকার ইঞ্জেকশন 'জোলজেন্সমা' ইঞ্জেকশন দিলে রোগ নিরাময় সম্ভব। ওই ওষুধ প্রয়োজনের ভিত্তিতে আনাতে হয় আমেরিকা থেকে। তখন থেকেই মেয়েকে সুস্থ জীবনে ফেরাতে শুরু হয় অস্মিকার বাবা-মায়ের লড়াই। সমাজমাধ্যমের দৌলতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আর্থিক সাহায্যের হাত এসেছে।
শুক্রবার সমীরকুমার দাস বলেন, ‘‘আমাদের প্রত্যেকের একটু একটু সহযোগিতাই পারবে ওকে সুস্থ জীবনে ফেরাতে।’’ জানা গিয়েছে, ইঞ্জেকশনের প্রায় অর্ধেক খরচ জোগাড় হয়েছে। হাতে সময়ও বেশি নেই। অস্মিকার বাবা শুভঙ্কর দাস বলেন, ‘‘যাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)