শুরু হয়েছে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ। এই বিষয়ক 'হেল্প লাইন' নম্বর চালু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। মুর্শিদাবাদ জেলায় চারটি 'হেল্প লাইন' নম্বর চালু করেছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, আগামী দিনে প্রতিটি ব্লকেও হেল্পলাইন চালু করা হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও চালু করা হয়েছে 'হেল্প লাইন' নম্বর। প্রতিটি বিধানসভায় ক্যাম্প করা হয়েছে বলেও দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয় তাঁদের দলীয় কর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন। যাতে কারওর কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন তাঁরা।
তবে মুর্শিদাবাদ বিধানসভার ২৮২টি বুথের মধ্যে ২১০ বুথে এজেন্ট দিতে পেরেছে তাঁরা। যদিও গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভায় ২১০ টি বুথে এজেন্ট দিয়ে এগিয়েছিলেন তাঁরা বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
বিজেপির মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের দলীয় কর্মীরা সক্রিয় রয়েছে। বুথ লেভেল এজেন্টরা (বিএলএ) বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। মানুষকে তাঁরা সহযোগিতা করছেন। জেলায় আমরা এখনও কোনও ‘হেল্প লাইন’ চালু করিনি। আমাদের মুর্শিদাবাদ বিধানসভায় ২১০ জন বুথ এজেন্ট রয়েছেন। গত লোকসভা ও বিধানসভাতেও এতগুলিই এজেন্ট ছিল আমাদের। গত বিধানসভাতে আমরা জয়ী হয়েছিলাম। গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা এই বিধানসভায় এগিয়েছিলাম। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হব।’’
মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘প্রতিটি বিধানসভাতেই আমাদের ক্যাম্প করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে ‘হেল্প লাইন' নম্বরও। বিজেপি বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে রাজনীতি করছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারা পরাজিত হবে।’’
জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে 'হেল্প লাইন' নম্বর চালু করা হয়েছে। মানুষদের যতটা সহায়তা করা যায় আমরা তা করব। বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল ও বিজেপি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)