বাড়ির উঠানে খোলা আকাশের নীচে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা এবং শিশু ও মায়েদের সুষম আহার খাওয়ানো, প্রশাসন উদাসীন। প্রায় ১০ বছর ধরে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে পলাশি গ্রামে একটি বাড়ির উঠানে খোলা আকাশের নীচে চলছে ৩১৩ নম্বর অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে শিশুদের পড়াশোনা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব ঘরের দাবি জানালেও এখনও মেলেনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর। ফলে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে খোলা আকাশের নীচে ৩১৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীর বাড়ির উঠানে চলছে পড়াশোনা সুষম আহার প্রদান।
অবিভাবকদের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির নিজস্ব কোনও ঘর না থাকার জন্য ছোট ছোট শিশুদের এই ভাবে খোলা আকাশের নীচে শীত, গ্রীষ্ম বর্ষায় পড়াশোনা করতে হয়। এর ফলে শিশুদের অনেক সমস্যা হয়। ২০১৮-১৯ সালের দিকে এলাকায় ৫০০ মিটারের মধ্যে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর তৈরির কাজ শুরু হলেও এখনও সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর নির্মাণ হয়নি। ফলে এই ভাবে ঠান্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নীচে পড়াশোনা করতে হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে খাবারও। অবিলম্বে অসম্পূর্ণ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর সম্পূর্ণ করার দাবি উঠেছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী করবী চৌধুরী জানান, বাড়ির উঠানে খোলা আকাশের নীচে পড়াশোনা করতে গিয়ে বাচ্চাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া অনেক বাচ্চাদের অভিভাবক ঠান্ডার জন্য বাচ্চাদের পঠাচ্ছেন না। কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর থাকলে তাদের খেলার মাধ্যমে শিক্ষা যেমন দেওয়া যাবে সে রকম খাদ্য রান্নার জায়গা হবে স্বাস্থ্য সম্মত।
ফরাক্কার সিডিপিও শান্তনু রায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর কেন এখনও হয়নি তা আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ততদিন পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘরে কেন্দ্রটি চলবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)