প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন, শনিবার ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের রানিনগরের এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার তাঁর মৃত্যু হল। মৃতের নাম সিরাজুল শেখ (৩৫)। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত মোট ৩০ দিনে মুর্শিদাবাদে সব মিলিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে শনিবারই মৃত্যু হয় চার জনের। রানিনগরের তৃণমূল কর্মী সিরাজুলের মৃত্যুর ঘটনা ধরে জেলায় ভোট-সন্ত্রাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সিরাজুল। অভিযোগ, সেই সময় বাম-কংগ্রেস জোটের কর্মীরা মিলিত ভাবে তাঁর উপর চড়াও হন। বাঁশ, রড দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়েরাই সিরাজুলকে গুরুতর জখম অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিরাজুলকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। রবিবার সিরাজুলকে নিয়ে যাওয়াও হচ্ছিল কলকাতায়। কিন্তু ভোটে হিংসা, অশান্তির অভিযোগ তুলে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে সেই সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। যার জেরে যানজটে আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। সিরাজুলকে আবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ফিরিয়ে আনা হয়। রবিবার রাতে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, ভোটের দিনই মুর্শিদাবাদের চার জায়গা— লালগোলা, রেজিনগর, খড়গ্রাম এবং নওদা মিলিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়। মুর্শিদাবাদের রেজিনগর এবং খড়গ্রামে নিহত ইয়াসিন শেখ (৫৩) ও সত্তরুদ্দিন শেখ (৫০) তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। লালগোলায় রওশন আলি (৪২) সিপিএম সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। নওদায় নিহত হাজি নিয়াকত আলি (৬০) কংগ্রেস কর্মী। তাঁর ভাইপো পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy