কাশিমবাজার বড় রাজবাড়ি লাগোয়া ছান্দার বাগান এলাকায় মদ খেয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের গালি দেওয়া ও মাতলামি করা প্রাত্যহিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীদের হাঁসুয়ার কোপে খোয়া গেল প্রতিবাদী এক যুবকের ডান হাতের তিনটি আঙুল। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। শনিবার বিকালের ওই ঘটনায় আহত যুবককে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বছর বত্রিশের ওই যুবকের নাম তুষার মিত্র। বাড়ি বহরমপুর শহরের কাশিমবাজারের ছান্দার বাগান এলাকায়।
বড় রাজবাড়ি লাগোয়া কাশিমবাজার মহারাজাদের একটি পুকুর লিজে নিয়ে মাছ চাষ করেন কয়েক জন স্থানীয় যুবক। পুকুর পাড়েই রয়েছে স্টিলের আলমারি তৈরির একটি কারখানা। ওই পুকুর ও কারখানা দেখভাল করেন চন্দন নামে এক যুবক। চন্দনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। পুকুরপাড়েই একটি বাড়িতে সপরিবারে থাকে চন্দন। বড় রাজবাড়ি পাড়ার লোকজনের অভিযোগ, মদ খেয়ে প্রতিবেশীদের গালিগালাজ করা নিত্য ঘটনা। প্রতিবাদ করলেই খুন করে ঝাড়খণ্ডে চলে যাওয়ার হুমকি দেয় চন্দন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তুষার মিত্র বলেন, ‘‘জগা ও চন্দন শনিবারও মদ খেয়ে দুপুরে এক দফা ও বিকালে আরও এক দফা গালাগালি করে। অতিষ্ঠ লোকজন তা নিয়ে আমাদের কাছে নালিশ করে। ওই রকম মাতালামি না করার কথা বলতে আমরা চার বন্ধু মিলে চন্দনের বাড়ি যাই।’’
বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রীকে চন্দনের মাতলামির বিষয়ে জানিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে আসছিলেন তুষাররা। তুষার বলেন, ‘‘এমন সময় চন্দন ও জগা হাঁসুয়া নিয়ে পিছন থেকে আক্রমণ করে। চন্দনের হাঁসুয়ার কোপে বাম হাতের একটি এবং ডান হাতের চারটি আঙুল কেটে যায়।’’ তার মধ্যে ডান হাতের মধ্যমা ও তর্জনীর কেটে দু’ খণ্ড হয়ে গিয়েছে। সেই আঙুল দু’টি জোড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। ডান হাতের বুড়ো আঙুল মাঝখান থেকে কেটে ঝুলতে থাকে। কোনও মতে জোড়া দেওয়া গেলেও চিকিৎসকদের বক্তব্য, বুড়ো আঙুলটি ফিরে পাওয়া যাবে কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দু’ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম চন্দন বাউরি ও জগা হরিজন।’’