Advertisement
E-Paper

পুলিশের সামনেই কানে চড় মারে ওরা

কিছুক্ষণ পর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পরিচিত দোকানঘরে ঢুকে ক্যামেরার ব্যাগটা রেখেছি, ঠিক তখনই ছ’-সাত জন ভিতরে এল। হাতে লাঠি, বয়স ২৫-৩৫ এর মধ্যে।

সাফিউল্লা ইসলাম

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:২১

ডোমকলের পুরনো বিডিও অফিস মোড়ের প্রায় দু’শো মিটার আগে মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। একটি ছ’চাকার লরিতে বিরোধীদের অনেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে তা আটকে কিছু লোক ভাঙচুর করে। তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা ছিল। লরিটিকে ঠেলে রাস্তার পাশে নিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ এল। পরিস্থিতি নিরাপদ মনে করে লরির কাছে মোবাইলে ছবি তুলতে শুরু করলাম।

কিছুক্ষণ পর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পরিচিত দোকানঘরে ঢুকে ক্যামেরার ব্যাগটা রেখেছি, ঠিক তখনই ছ’-সাত জন ভিতরে এল। হাতে লাঠি, বয়স ২৫-৩৫ এর মধ্যে। আমাকে কাঁধে, ঘাড়ে, বুকে ধাক্কা মারতে-মারতে সরাসরি তুইতোকারি করতে লাগল তারা, সঙ্গে চলল হুমকি—‘কেন ছবি তুললি? ডিলিট কর এখনই, নয়তো তোকেই পৃথিবী থেকে মুছে দেব।’ এর মধ্যেই একটা ছেলে বাইরে থেকে একটা মোটা বাঁশ নিয়ে এল। আমি তখন ভয়ে দোকানের বাইরে। একটু দূরেই পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে, কিন্তু আমাকে বাঁচাতে আসছে না! পুলিশকেও কখনও এত নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখিনি। সেই সময় আমার পরিচিত এক পরিচিত তৃণমূল কাউন্সিলার সেলিম রেজা এসে বহিরাগতদের বলতে থাকলেন, ‘‘ওকে মারছ কেন, ছেড়ে দাও ওকে। ও কাজ করতে এসেছে।’’ কিন্তু হামলাকারীরা তখন মারমুখী। আমার মাথায় হেলমেটটা তখনও পরা ছিল। পিছন থেকে এক জন সেটা টেনে খুলে দিল, এক জন পাশ থেকে সজোরে আমার বাঁ কানের উপরে একটা ঘুঁষি মারল। আমার চোখের সামনে সব আবছা হয়ে গেল। বসে পড়লাম। কানে এখনও কিছু শুনতে পাচ্ছি না।

murshidabad police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy