প্রতীকী ছবি।
চাল, আটার পরে মূল্যবৃদ্ধিতে সবাইকে টেক্কা দিল বাঙালির প্রিয় মুড়িও।
ঘরে মাটির তাওয়াইয়ে হাতে ভাজা ৪৫ টাকা কিলোর খোলা মুড়ি তিন সপ্তাহের মধ্যেই ৬০ টাকায় ঠেকেছে পুজোর আগেই। কুইন্ট্যালের হিসেবে দাম বৃদ্ধি ১৫০০ টাকা। প্যাকেটজাত মেসিনে ভাজা মুড়ির কিলো ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। মুড়িতে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বসালেও স্থানীয় বাজারে জিএসটি এখনও বসেনি। কারণ যারা ছোট খাটো দোকানদার মুড়ির ব্যবসা করেন তাদের কেউই জিএসটিভুক্ত ব্যবসাদার নন। জিএসটি বসলে প্রতি কিলোতে দাম বাড়বে আরও ৩-৪ টাকা।
গোটা জেলা জুড়ে এখন অজস্র মুড়ির কারখানা। এর বাইরে বহু গ্রামে এখনও বাজার থেকে চাল কিনে বাড়িতে মাটির তাওয়ার বালিতে মুড়ি ভেজে বিক্রি করেন বহু মহিলা। শমসেরগঞ্জের হাঁসুপুর, রঘুনাথগঞ্জের মণ্ডলপুরের মতো বহু গ্রামে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে, যারা মুড়ির ব্যবসা করেন। স্থানীয় বাজারে ভাল চাহিদা রয়েছে সে মুড়ির।
হাঁসুপুরের আল্পনা মণ্ডল বলছেন, “মুড়ির চাল ছিল ২৬০০ টাকা কুইন্ট্যাল। তা বেড়ে হয়েছে ৩৪৫০ টাকা। গত চার, পাঁচ দিনে তা কিছুটা কমে ৩২০০ টাকা হয়েছে। কিন্তু জ্বালানির দামও বেড়েছে। তাই মুড়ির দাম বাড়াতে হয়েছে।”
মুড়ি বিক্রিও যে অনেকটাই কমেছে তা মানছেন বহরমপুরের মুড়ি কারখানার মালিক অরূপ পাল। তিনি বলেন, “আমরা যে ব্র্যান্ডের চালে মুড়ি করি, তার দাম ৪৫০০ টাকা কুইন্ট্যাল হয়েছিল। কয়েক দিনে তা কমে ৪ হাজার টাকা হয়েছে। নন ব্র্যান্ডের যে কারখানা রয়েছে, তারা ৩৪০০ / ৩৫০০ টাকা কুইন্ট্যালের চাল ব্যবহার করে। সব চালের দামই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ফলে মুড়ির দাম বেড়েছে।”তিনি জানান, আগে ৪০ কুইন্ট্যাল দৈনিক উৎপাদন ছিল তাঁর। দাম বাড়ায় চাহিদা কমেছে। তাই উৎপাদনও অর্ধেক কমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy