আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের চিঠি ও কার্ড বিলি আটকাতে শনিবার কৃষ্ণনগরে পথে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত নিজে দলবল নিয়ে হাজির হন কৃষ্ণনগরের হেড পোস্ট অফিসে। জানিয়ে দেন, এর পরে আর কার্ড বা চিঠি বিলি হলে জেলার সমস্ত পোষ্ট অফিসেই কর্মীদের ভিতরে রেখে তালা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তৃণমূলের এই বাধা এবং হুঁশিয়ারি থেকে এ বার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। জেলার বিজেপি নেতারা জানাচ্ছেন, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাঁরা মানুষকে বেঝাবেন স্বাস্থ্য বিমার অতি জরুরি সুবিধা থেকে তৃণমূল বহু মানুষকে বঞ্চিত করতে চাইছে। কেন্দ্রকে সেই কাজ চালাতে বাধা দিচ্ছে। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকারের কথায়, “মানুষকে ওদের স্বরূপ বোঝাতে হবে। আমরা তালিকা নিয়ে উপভোক্তাদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জানাব, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া থেকে তৃণমূল কত মানুষকে আটকে দিল।” প্রসঙ্গত, রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে প্রায় ৫২ লক্ষ পরিবার রয়েছে। এর সঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প যুক্ত হলে সুবিধাপ্রাপ্ত পরিবারের সংখ্যা এ রাজ্যে হত প্রায় ১ কোটি। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে এই অতিরিক্ত ৫০ লক্ষ পরিবার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে বলে প্রচার চালাতে চাইছে বিজেপি। মহাদেববাবু বলেন, “আমরা বাড়ি-বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি ডাকঘরের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করব।” যা শুনে গৌরীশঙ্কর দত্ত বলছেন, “পোস্ট অফিসে পাহারা না দিয়ে নিজেদের দলীয় কার্যালয় পাহারা দিক বিজেপি। কারণ, তেমন হলে আমরা সেগুলো বন্ধ করে দেব।” তাঁর কথায়, “বাড়ি-বাড়ি যেতে গেলে লোক লাগে। বিজেপির বুথ স্তর ছাড়ুন, ব্লকে স্তরে কোনও লোক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy