ফাইল চিত্র।
দলীয় কর্মী তানিয়া ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সোমবার কল্যাণী আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করলেন রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার। তিনি পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ সরকারের আইনজীবী বীরেনচন্দ্র বিশ্বাস।
তানিয়াদেবী গত পুরসভা নির্বাচনে গয়েশপুর পুরসভায় বিজেপির হয়ে নির্বাচনে লড়েছিলেন। তিনি গয়েশপুর যুব মোর্চার সহ-সভাপতিও ছিলেন। তিনি কল্যাণী এমসে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে কাজ পেয়েছেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সামনে তানিয়াদেবী অভিযোগ তুলেছিলেন যে, চাকরির ব্যাপারে জগন্নাথ সরকার তাঁর কাছ থেকে দু’ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।
মানহানির মামলার বিষয়ে জগন্নাথ সরকার বলেন, “দলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। দল কোনও পদক্ষেপ করল না। আমাকেও শো-কজ করা উচিত ছিল। তদন্ত করা উচিৎ ছিল আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু দল কোনওটাই করেনি। তাই নিজের মানসম্মান রক্ষার্থে দলের লোকের বিরুদ্ধেই মামলা করতে বাধ্য হলাম।” অন্য দিকে তানিয়া তানিয়ার বক্তব্য, “ওঁর যেটা ভাল লেগেছে সেটা করেছেন।” গত মে মাসের ১৪ তারিখে কল্যাণী থানায় জগন্নাথ সরকার তানিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। গয়েশপুর বিজেপির যুব মোর্চার পদ থেকেও অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল তানিয়াকে। দলের মধ্যে তা নিয়ে বিতর্কও হয়। কারণ, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির নতুন সভাপতি হওয়ার পর গয়েশপুর শহর মণ্ডলীর কোনও কমিটি তৈরি হয়নি।
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ ছিল, তানিয়া তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। তিনি তানিয়াকে চেনেনই না। তানিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেন। পুলিশ তাঁর অভিযোগ শুধু জেনারেল ডায়েরি হিসাবে রেখে দেয়। কিন্তু পুলিশের দাবি, জগন্নাথ সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। জগন্নাথ সরকার বলেন, “তানিয়াকে গয়েশপুর যুব মোর্চার পদ থেকে সরানো হয়েছে। তার পরেও বিজেপির এক রাজ্য নেত্রী তানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ান।”
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি রামপদ দাস বলেন, “জগন্নাথ সরকার ও তানিয়া ভট্টাচার্যের বিষয়টা রাজ্য নেতৃত্ব দেখছেন। এখন যেহেতু বিষয়টা কোর্টের ব্যাপার হয়ে গিয়েছে এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” বিরোধীরা এই ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। নদিয়া জেলার তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায় বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে বিজেপিই মানহানির মামলা করল। এতে প্রমাণিত হল যে, ওদের মধ্যে মুষল পর্ব চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy