উদ্বোধনের প্রস্তুতী। কল্যাণী এমস। নিজস্ব চিত্র।
জন্মলগ্ন থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না কল্যাণী এমসের। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র না থাকা এবং শূন্যপদে নিয়োগ না হওয়ায় বিতর্ক জিইয়ে রেখেই আজ, রবিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে অন্তর্বিভাগের। গুজরাতে রাজকোট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধন করার কথা।
প্রত্যাশিত ভাবেই, এউ নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, "ভোটে ফায়দা পেতেই অপ্রস্তুত একটি হাসপাতাল তড়িঘড়ি উদ্বোধন করা হচ্ছে। এই রাজনৈতিক চমক রাজ্যের মানুষ মেনে নেবে না।" রানাঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকারের পাল্টা দাবি, "চিকিৎসা পেতে যাতে রাজ্যের মানুষকে দক্ষিণ ভারতে যেতে না হয়, সেই জন্যই এমস করা। কিন্তু কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য সহযোগিতা করে না।"
তবে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলের রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির জেরে আগেও বেশ কয়েক বার সংবাদ শিরোনামে এসেছে এই হাসপাতাল। কল্যাণী এমসে কাজের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থায় অস্থায়ী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নেমেছে সিআইডি। যাঁরা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের মধ্যে বাঁকুড়া ও নদিয়ার চাকদহের বিজেপি বিধায়কের নিকটাত্মীয় রয়েছেন। সেই সঙ্গে বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার এবং নদিয়ার রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার-সহ আরও কিছু বিজেপি নেতানেত্রীর নামও জড়িয়েছে। ভোটের আগে তড়িঘড়ি এমস উদ্বোধনের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ অবশ্য দাবি করেন, "এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। জানুয়ারি মাসেই এই উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে পারেননি। তবে পুরোদমে পরিষেবা চালু হতে আরও মাস ছয়েক সময় লাগবে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy