বসানো হয়েছে সিসিটিভি। — নিজস্ব চিত্র
নদিয়ার পথ-ঘাটে এখন সোঁদরবনের প্রবাদটি বেশ চালু লব্জ হয়ে উঠেছে— তুমি তাঁরে দেখছ না ঠিকই তবে তিনি তোমায় ঠাওর করছেন!
দক্ষিণ রায় নন, তিনি সিসিটিভি।
তার রাঙা চোখের শ্যেন দৃষ্টিতে উড়ন্ত বাইক থেকে নিয়ম ভাঙা গাড়ি, হেলমেটহীন সওয়ারি থেকে রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোর খামখেয়ালিপনা— রেয়াত করা হবে না কিছুই।
রাস্তায় পুলিশ না থাকলেও জেনে রাখুন, সিসিটিভির দৌলতে আপনার বেহিসেবী নিয়মভাঙার চুলচেরা হিসেব ধরা থাকছে পুলিশের চোখে।
উল্টোটাও রয়েছে— কর্তব্যরত অবস্থায় টুপি খুলে এ দিক সে দিক ঘোরা থেকে ধূম্রপান এমনকী গাড়ি থামিয়ে তোলা আদায়, পুলিশের এমন বেলেল্লাপনাও ধরা পড়বে ওই ক্যামেরায়। ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে ব্যাপারেও। তবে সাধারণ সওএয়ারিদের প্রশ্ন— নিয়মভাঙার ক্ষেত্রে পুলিশ যতটা তৎপর হবে, নিজেদের দোষগুলো তত সহজে নজরে আসবে তো পুলিশের!
ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষামূলক ভাবে সিসিটিভি বসেছে বসে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বগুলার নোনাগঞ্জ মোড় থেকে শুরু করে দুর্গাপুর রেলগেট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, কলেজ রোড— সব মিলিয়ে অন্তত ১৬টি জায়গায় ইন্টারনেট প্রোটোকল ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ফলে কৃষ্ণনগরে বসেই বগুলার কাণ্ডকারখানা নজরে আসবে জেলা ট্রাফিক পুলিশের।
নদিয়ার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর জন্য জেলার বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, রানাঘাটসহ বেশ কিছু এলাকায় লাগানো হয়েছে। এমনকী প্রত্যন্ত বগুলাও তার বাইরে নয়।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় দু’লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে ১৬টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আরও চারটি ক্যামেরা লাগানো হবে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও কিছু ব্যবসায়ীর আর্থিক সাহায্যে এই কাজ হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বগুলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পীযূষকান্তি কুন্ডু বলেন, “নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি এখন খুব প্রয়োজন। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের সিসিটিভির জন্য আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে সিসিটিভির জন্য ৫০হাজার টাকা দিয়েছি।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কৃষ্ণনগর দত্তফুলিয়া রাজ্য সড়কের ধারে হাঁসখালি থানা এলাকার একাধিক বাজার রয়েছে। হাঁসখালির চিত্রশালী থেকে ট্যাংরাখাল পর্যন্ত বিভিন্ন বাজার এবং বেশ কয়েকটি মোড়ের মাথায় সিসিটিভি লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। প্রথমদফায় বগুলা বাজারে সিসিটিভি লাগানো হলে। পরবর্তী সময়ে এই থানা এলাকার অন্যান্য মোড় এবং বাজারে সিসিটিভি লাগানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy