এ বাহিনী কেমন বাহিনী!
সেই জংলা পোশাক, সেই ভারী বুট, সেই হাঁটাচলা। কিন্তু লোকসভা ভোটে তাদের ভূমিকার সঙ্গে সোমবারের দুই বিধানসভা উপনির্বাচনে তাদের ভূমিকার ফারাকটা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ দিন প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা ছিল যথেষ্ট সক্রিয়। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, উপনির্বাচনে একশোও শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কিন্তু সেই আশ্বাসের পরেও সংশয়ে ছিলেন বিরোধীরা।
তাঁরা জানিয়েছিলেন, এর আগে লোকসভা ভোটেও একই কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে বুথে দেখা গিয়েছিল রাজ্য পুলিশকেই। এ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি ও সক্রিয় ভূমিকায় খুশি সাধারণ মানুষ, প্রার্থী ও বিরোধীরা।
জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘এ দিনের উপনির্বাচনে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তারা সঠিক দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা খুশি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। জয় আমাদেরই হবে। যাঁদের সঙ্গে মানুষ নেই তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনী, কেন্দ্রীয় বাহিনী করে হইচই করছেন!’’
নওদার তৃণমূলের প্রার্থী সাহিনা মমতাজ বেগম অবশ্য বলছেন, ‘‘সারাদিন ধরে চলা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় আমরা খুশি। তবে একটি ঘটনা না ঘটলে আরও খুশি হতাম।’’ তিনি বলছেন, ‘‘মুক্তারপুরে একটি বুথে আমি গিয়েছিলাম। প্রার্থীর পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাকে ঢুকতে দেয়নি। ফলে আমি সেখান থেকে ফিরে এসেছি।’’
আর বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলছেন ‘‘এ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা যথেষ্ট ইতিবাচক ছিল। তারা মুর্শিদাবাদের দুই দফায় লোকসভা ভোটের প্রায়শ্চিত্ত করেছে।’’
লোকসভা ভোটের স্মৃতি এখনও তাজা। এ দিন কান্দি ও নওদার বহু সাধারণ মানুষও বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিক ভূমিকা পালন করলে ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবেই হওয়ার কথা। এ দিনও ঠিক সেটাই হয়েছে। এমন ভূমিকা জেলার দু’দফায় হওয়া লোকসভা ভোটে থাকলে আরও ভাল হত। ভগবানগোলায় যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেটাও ঘটত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy