অপারেশন সিঁদুর নিয়ে উচ্ছ্বসিত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্থানে হামলা চালিয়ে সেখানে জঙ্গি ঘাটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার খুশির হাওয়া। মুর্শিদাবাদের অনেকেই সমাজ মাধ্যমে অনেকে লিখেছেন, প্রত্যাঘাতের অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। চায়ের দোকান থেকে মোড়ের মাথায় আলোচনার একটিই বিষয় ছিল অপারেশন সিঁদুর।
বুধবার বিকেলে বহরমপুরে জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে মিছিল বের করেছিল বিজেপি। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেই মিছিল বেরিয়েছিল। বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মলয় মহাজন বলেন, ‘‘পাকিস্থান অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রত্যাঘাত করায় আমরা আনন্দে মিছিল করেছি। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিটি মণ্ডল কমিটিতে সেনাবাহিনীর মঙ্গল কামনা এবং সফলতা চেয়ে পুজো করা হবে।’’
তৎপর জেলা প্রশাসনও। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘জরুরি পরিস্থিতিতে আমাদের কী করণীয়, সে বিষয়ে সিভিল ডিফেন্সকে নিয়ে আমরা এ দিন প্রস্তুতি বৈঠক করেছি।’’
সীমান্ত জুড়েও বেশ সাজো সাজো রব। মক-ডিলের মধ্যে দিয়ে বেজে গিয়েছে যুদ্ধের ডঙ্কা। কেবল পাকিস্তান সীমান্ত নয়, দেশের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও যুদ্ধকালীন তৎপরতার ছায়া দেখা গিয়েছে। অনেক বিএসএফ ক্যাম্পেই বাড়ানো হয়েছে জওয়ানদের সংখ্যা। বিএসএফ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও সীমান্তের সাধারণ মানুষ দাবি করছেন, অনেক বিএসএফ ক্যাম্পে নতুন করে তাঁবু খাটানো হয়েছে জওয়ানদের থাকার জন্য। ঘনঘন বিএসএফের গাড়ি যাতায়াত করছে সীমান্তের সরু পথে।
খালি চোখে দেখলে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত অন্য সময়ের মতোই স্বাভাবিক মনে হবে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সীমান্তের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে বিএসএফের জনা কয়েক জওয়ান এসেছিলেন পঞ্চায়েত অফিসে। তারা বলে গিয়েছেন সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে বলুন। এলাকার লোকজনের কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছি ক্যাম্পে বাড়ানো হয়েছে জওয়ানের সংখ্যা। তাদের থাকার জন্য নতুন করে তাঁবুও তৈরি হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)