প্রতিবেশিনী তাঁদের বাগান থেকে ফুল তুলেছিলেন বলে তাঁকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানো হয়। অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন সেই প্রৌঢ়া। নদিয়ার শান্তিপুরের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ‘ক্লোজ়’ করল পুলিশ। পাশাপাশি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদা। তবে আরও এক জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
শনিবার গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার হয় নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের সরস্বতী দে-র দেহ। পরিবারের দাবি, ভোরে তিনি ফুল তুলতে গিয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার মিলন করাতির বাড়ির বাগানে। ওই সিভিক এবং তাঁর পরিবার ফুলচুরির অপবাদ দিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সরস্বতীকে অপমান করেন। তাঁকে গালমন্দ করে কান ধরিয়ে ওঠবস করানো হয়। পরে সরস্বতীর কর্মস্থলে গিয়েও তাঁকে অপমান করা হয়। সকলের সামনে অপমানিত বোধ করেন প্রৌঢ়া। তার পরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেয়ে।
সিভিক এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় শান্তিপুর থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রথমেই ‘ক্লোজ়’ করা হয়েছে শান্তিপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার মিলনকে। রবিবার গ্রেফতার করা হয় মিলনের দাদা অসীম করাতিকে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রের খবর, সিভিক-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তে নেমে বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ পেয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। দ্রুত ক্লোজ় করা হয়েছে মিলনকে। তাঁর দাদা এবং তাঁকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। ধৃত অসীমকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।