ভাগ্য হাজরার মৃতদেহ সৎকার করতে চাঁদা সংগ্রহ করলেন জসিম শেখ, আব্দুল হালিম, ওয়াজেদ শেখরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হরিহরপাড়ার বিহারিয়া এলাকায় ট্রাকের তলায় পড়ে মৃত্যু হয় ভাগ্য হাজরা (৬৫) নামে এক মহিলা। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে দেহের ময়নাতদন্তের পর গোরাবাজার শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসার ভাগ্য হাজরার। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ স্বামী ও এক ছেলে। ওই মহিলার স্বামী অজিত হাজরা আগে শ্রমিকের কাজ করলেও বয়সের ভারে সেই অর্থে কাজ করতে পারেন না। গবাদিপশু পালন করে চলে তাদের সংসার। তাঁদের ছেলে সুরেন হাজরা দিন মজুরের কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর পর সৎকার কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন তাঁর বৃদ্ধ স্বামী ও ছেলে। পাশে দাঁড়ান গ্রামের বাসিন্দারা। জসিম বলেন, “গ্রামে হাতে গোনা কয়েক ঘর হিন্দু পরিবার রয়েছে। আমরা মিলেমিশে থাকি। যে মহিলা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবার অসহায়। ফলে শেষকৃত্যের যাবতীয় খরচ আমরাই নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে জোগাড় করেছি।” অজিত ও তাঁর ছেলে সুরেন বলেন, “ওরা পাশে না থাকলে শেষকৃত্য কীভাবে করতাম বুঝতে পারছি না। আমরা যেনো এভাবেই থাকতে পারি।” হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, “ভোটের লালসার যতই বিভাজনের চেষ্টা করা হোক এলাকার মানুষ যে মিলেমিশে আছেন তার ফের প্রমাণ হল। এলাকার মানুষকে ধন্যবাদ জানাই।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)