E-Paper

ভর্তুকির নামে প্রতারণা, ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব টাকা

বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের জন্য গৌতম একটু একটু করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১০:২৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি দেওয়ার নামে গ্রাহকদের ফোন করে ওটিপি হাতিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। সম্প্রতি শান্তিপুর থানা ও রানাঘাট জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় এই ধরনের একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা। যদিও প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

শান্তিপুর শহরের শিবদুর্গা কলোনির বাসিন্দা গৌতম সাহা জামা-কাপড় বিক্রি করেন। বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের জন্য গৌতম একটু একটু করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করা হয়। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি নিজেকে গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে রান্নার গ্যাসের কনজিউমার নম্বর মিলিয়ে নিতে বলে। কনজিউমার নম্বর মিলে যাওয়ার সন্দেহ হয়নি গৌতমের। তার পরে ওই ব্যক্তি গ্রাহক গৌতমকে বলে গ্যাসে ৩০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। সে জন্য গৌতমের ফোনে যাওয়া ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি জানতে চায়। সরল বিশ্বাসের সেই ওটিপি জানিয়ে দেন গৌতম। তার পরেই বিপত্তি ঘটে।

গৌতম বলেন, ‘‘ওই ওটিপি বলে দেওয়ার কিছু সময় পরে ফোনে একটি এসএমএস আসে। তাতে লেখা থাকে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কুড়ি হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পরে ওই নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি।’’ তবে শুধু গৌতমই নন, শান্তিপুর শহরের ডাকঘর এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী জয়ন্ত বসাকের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে।

মহালয়ার আগের দিন হঠাৎই জয়ন্তকে রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার অফিসের নাম করে ফোন করে এক ব্যক্তি। বলা হয়, গ্যাসের ভর্তুকি বাবদ এককালীন চার হাজার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। তার পরেই জয়ন্তের বিভিন্ন তথ্য জেনে নিয়ে মোবাইলে আসা ওটিপি হাতিয়ে নেয়। ওই দিনই বৃদ্ধ তাঁর ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে গ্যাসের অফিসে যোগাযোগ করেন। তাতে লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কয়েক দিনে শুধুমাত্র শান্তিপুর থানাতেই এ ধরনের ডজন খানেক অভিযোগ জমা পড়েছে। পাশাপাশি প্রতারিতেরা অনলাইনে রানাঘাট পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগগুলি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কেউ ফোন করে গ্যাসের ভর্তুকি বা অন্য কোনও আর্থিক প্রলোভনের কথা বললে, সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন। কোনও ভাবেই ওটিপি কাউকে বলা ঠিক নয়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ranaghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy