প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন নওদার ১৩ জন জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁরা চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছেন। আগামী ১০ অগস্ট ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচন, তার আগে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
ওই সদস্যদের আইনজীবী শাহেন শাহ বলেন, ‘‘ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই আমার মক্কেলরা বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। তাঁদের পরিবারের লোকেদের নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বোর্ড গঠনের দিন তাঁরা ভোটাভুটিতে অংশ নিতে যেতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। বোর্ড গঠনের দিন বাড়তি নিরাপত্তা ও সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ আদালতের বিচারকের কাছে মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। অনুমতি মিলেছে। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হবে। সরকার পক্ষকেও নোটিস করা হয়েছে।’’
নওদার দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের একার দখলে। বাকি পাঁচটি বিরোধীদের দখলে। চাঁদপুর পঞ্চায়েতের মোট আসন ২০। তার মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ১৩টিতে। আরএসপি দু’টি ও তৃণমূল পাঁচটি আসন জিতেছে। সূত্রের খবর, গত ১১ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পরই গোপন আস্তানায় রয়েছেন জয়ী বিরোধী সদস্যেরা। কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের জয়ী সদস্যদের পরিবারের লোকেদের নানা ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে কাজ না হওয়ায় হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বোর্ড গঠনে যাতে তাঁরা সশরীরে হাজির থেকে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারেন ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয় সেই কারণেই উচ্চ আদালতে যাওয়া।’’
নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউজ্জামান শেখ বলেন, ‘‘কংগ্রেস সদস্যদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া, প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ভোটের দিন আমাদের কর্মীদের মারধর করে ওরা ভোট লুঠ করেছে। ফলে তাঁরা এলাকায় ঢুকতে ভয় পাচ্ছে।" পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই বোর্ড গঠন হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy