অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
দলের বুথকর্মীরাই হচ্ছেন দলের সম্পদ। রবিবার বিকেলে কান্দি পুরসভা কংগ্রেস ও কান্দি দক্ষিণ ব্লক কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী।
অধীরের দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটে ভোট লুঠ করা হয়েছে। এ বার লোকসভা ভোটে ভোট লুঠ করার চেষ্টা করলে রুখে দাঁড়াতে হবে বুথের কর্মীদের। এ বার একটা ভোটও লুঠ হতে দেওয়া হবে না বলে দাবি করে অধীর বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের মতো পুলিশ ভোট করাবে না, ওই ভোট করাবে কেন্দ্রের পুলিশ। একটা ভোট আমি লুট করতে দেব না। আপনারা যাঁরা বুথের দায়িত্বে থাকবেন তাঁরা শুধু আমাকে খবর দেবেন, তারপর যা করার আমি করবো।’’ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘ভোট লুট হয়নি। অধীর মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।’’
এ দিন একশো দিনের কাজের প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে অধীর বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজ আমাদের আইনি অধিকার। সেখানে কেন্দ্র টাকা দেবে না মজার বিষয়! তার জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে হবে। আমি সে কথা বহু বার বলেছি। কিন্তু তৃণমূল নেতারা দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছেন। নিজেদের জামিনের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, কিন্তু আমাদের আইনি অধিকার একশো দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার জন্য আদালতে যাওয়ার নাম করেন না।’’ অধীর আরও বলেন, ‘‘খোকাবাবু দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে দামি দামি হোটেলে ছিল। সকালে টাকার দাবি তুলে বিকেলে বাড়ি ফিরেছে।’’
এ দিনের কর্মী সম্মেলনে অধীর বলেন, কংগ্রেস বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে একক ভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল৷ তখনও তৃণমূল বিরোধী নেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কিন্তু সেটা পারেননি। তাই কংগ্রেসকে দুর্বল ভাবার কিছু নেই। এই জেলার জন্য কংগ্রেস কী ভেবে ছিল আর কী উন্নয়ন করেছিল সেই অতীতের কথা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন অধীর।
আর বর্তমানে যাঁরা পঞ্চায়েতে, পুরসভায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁরা মানুষের পাওনা কেড়ে নিচ্ছেন বলে দাবি করে অধীর বলেন, ‘‘রোজকার করে খাওয়ার ইচ্ছা নেই। কোনও মতে ভোট লুট করে পুরসভায় বা পঞ্চায়েতে জয়ী হতে পারলেই মানুষের পাওনা টাকা মেরে খাওয়ার প্রবণতা বেশি।’’
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘অধীরকে কেবল ভোটের সময়ই দেখা যায়। তিনি একের পর এক মিথ্যা কথা বলছেন। এ ভাবে ভোট জেতা যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy