Advertisement
০৮ মে ২০২৪

পুনরুদ্ধার আর জমি আঁকড়ে থাকার লড়াই

পালাবদলের আগে তো বটেই, রাজ্যে বাম জমানার অবসানের পরেও, মুর্শিদাবাদ ‘কংগ্রেসের খাসতালুক’ পরিচয়টা বদলায়নি। জেলা সদর বহরমপুরের পরিচয় ছিল, স্থানীয় সাংসদ অধীর চৌধুরীর গড়। সেই গড়েই বদলটা ঘটে গিয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৬
Share: Save:

পালাবদলের আগে তো বটেই, রাজ্যে বাম জমানার অবসানের পরেও, মুর্শিদাবাদ ‘কংগ্রেসের খাসতালুক’ পরিচয়টা বদলায়নি। জেলা সদর বহরমপুরের পরিচয় ছিল, স্থানীয় সাংসদ অধীর চৌধুরীর গড়।

সেই গড়েই বদলটা ঘটে গিয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। তবে, নির্বাচনে হেরে নয়, কংগ্রেসের টিকিটে জেতা জনপ্রতিনিধিরাই বদলে ফেলেছিলেন তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয়। সেই পুরনো জমিতে হারানো ‘শক্তি’র প্রমাণ রাখার চেষ্টা করতেই বৃহস্পতিবারের গণ্ডগোল, বলে মনে করছেন জেলা তৃণমূলের নেতারা।

কংগ্রেসের দখলে থাকা চার বারের পুরসভা বেহাত হয়ে যাওয়ায় পর থেকে চাপা অসন্তোষটা ছিল। দলবদল করা পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্যের কাছে, একগুচ্ছ দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিতে চাইলেও সময় দিতে পারছিলেন না নীলরতন। কংগ্রেস এক নেতাই বলছেন, ‘‘এ দিন তাই প্রমাণ করার ছিল, আমরা ফুরিয়ে যাইনি।’’

২০১৩ সালের পুরভোটে ২৮টি আসনের দু’টিতে জিতে বহরমপুরে খাতা খুলেছিল তৃণমূল। কংগ্রেসের টিকিটে জেতা জনপ্রতিনিধিদের দলবদলের পরে মধ্যে ২টি আসন জিতে তৃণমূল পাশা উল্টে গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, যেনতেন প্রকারে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে কংগ্রেস তাই এ দিন ফের ‘মাঠে নামার’ চেষ্টা করেছিল। তবে তাঁরা যে ‘জমি আঁকড়ে’ রয়েছেন তা জানাতেও ভুলছে না তৃণমূল। নীলরতন বলছেন, ‘‘পায়ের তলায় মাটি হারাচ্ছে তো, তাই হতাশা থেকেই এখন মারপিটের রাজনীতিতে নেমেছে কংগ্রেস।’’

যা শুনে, বহরমপুর টাউন কংগ্রেস সভাপতি অতীশ সিংহ বলেন, ‘‘পুরকর্মীদের গ্রাচ্যুইটি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ১৬ বছর কাজ করেও অনেকের বেতন মাত্র ১৬০০ টাকা। এই দাবিতে স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিলাম আমরা। তাতেই তোপ দেগে দিল আমরা নাকি মারকুটে, কারা জমি হারাচ্ছে এ বার বলুন!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Congress Tmc Berhampur Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE