Advertisement
E-Paper

স্বস্তি ফিরল লালকুঠির

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজারস্থানীয় সূত্রে জানা গেল, এলাকাবাসীর সুবিধার কথা ভেবে গত শতাব্দীর সাতের দশকের মাঝামাঝি লালকুঠিতে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়েছিল।

মৃন্ময় সরকার

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দারই পেশা দিনমজুরি। বছরের কয়েক মাস ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবেও কাজে যান আজিমগঞ্জের লালকুঠি এলাকার অনেক যুবক। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা পরিবারগুলির অসুখ-বিসুখে একমাত্র ভরসা লালকুঠি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু চার বছর ধরে কোনও অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসক নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভও আছে। তবে করোনা নিয়ে আতঙ্ক এবং লকডাউনের জেরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন সপ্তাহে তিন দিন করে চিকিৎসক রোগী দেখছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, এলাকাবাসীর সুবিধার কথা ভেবে গত শতাব্দীর সাতের দশকের মাঝামাঝি লালকুঠিতে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। লালকুঠি ছাড়াও শেঠেরলহড়, বেণীপুর, মাহিনগর, মধুসূদনবাটী, জখিরাবাগ, আমিনাবাজার এবং ডাহাপাড়ার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ জ্বর-জারি কিংবা অন্য সাধারণ অসুখে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসেন। বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রথম দিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাল পরিষেবা মিলেছিল। তার পর যত দিন গিয়েছে, পরিষেবার হাল ততই খারাপ হয়েছে। অভিযোগ, গত চার বছর ধরে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও চিকিৎসক নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সামলাচ্ছেন এক জন হোমিওপ্যাথ, এক ফার্মাসিস্ট ও একজন নার্স। মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌমিক মণ্ডল বলেন, ‘‘লকডাউনে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য লালকুঠিতে সপ্তাহে তিন দিন করে ডাক্তার যাচ্ছেন।’’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy