Advertisement
E-Paper

করোনা আক্রান্ত হননি পাঁচ জন

দু’দিন ধরে এই নিয়ে বেশ চাপে ছিলেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে মঙ্গলবার নাইসেড জানিয়ে দিয়েছে, এঁদের দেহে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০৪:২৭
হুঁশ নেই পাত্রবাজারে। নিজস্ব চিত্র

হুঁশ নেই পাত্রবাজারে। নিজস্ব চিত্র

আগের বার পাঁচের গেরোয় ফেঁসে গিয়েছিল নদিয়া। তেহট্টের ১৩ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে পাঁচ জনের দেহে মিলেছিল করোনাভাইরাস।

ফের তেহট্ট থেকেই আরও পাঁচ জনের লালারস পাঠানো হয়েছিল নাইসেডে। তাঁরা সকলেই ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক। দু’দিন ধরে এই নিয়ে বেশ চাপে ছিলেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে মঙ্গলবার নাইসেড জানিয়ে দিয়েছে, এঁদের দেহে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি। ফলে আপাতত ফাঁড়া কেটেছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন কর্তারা।

নদিয়া জেলায় এ দিন পর্যন্ত মোট ৫৩ জনকে করোনা সন্দেহভাজন হিসেবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে তেহট্টের বার্নিয়ায় দিল্লি সংযোগে নজরবন্দি ১৩ জন-সহ মোট ২৩ জনের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে ২২ জনের। কেবল বার্নিয়ার ওই পাঁচ জন ছাড়া কারও দেহে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি। জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের মতে, গোষ্ঠী সংক্রমণ যে শুরু হয়ে যায়নি, এটাই তার অন্যতম বড় প্রমাণ। গত ২২ মার্চ ‘জনতা কার্ফু’র দিন থেকে তিন-চার দিন ধরে জেলায় প্রায় স্রোতের মতো ঢুকেছে‌ন মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কেরলের মতো নানা রাজ্য ছেড়ে চলে আসা পরিযায়ী শ্রমিকেরা। এঁদের একটা বড় অংশ অসুস্থ হতে পারেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের আশঙ্কা ছিল। গৃহ নিভৃতবাসে নজরবন্দি করা হয় ২৮ হাজারেরও বেশি লোককে। মঙ্গলবারের মধ্যে এঁদের অনেকেরই ১৪ দিনের মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ তেমন ছড়ায়নি। খুব বেশি লোক অসুস্থ হননি। নিভৃতবাস কেন্দ্রে নজরবন্দির সংখ্যা সত্তরের কোঠাতেই থমকে আছে। অন্য দিকে, নিজের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকা লোকের সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে কমে এ দিন ১২ হাজারের নীচে নেমেছে। মঙ্গলবার আর নতুন করে কাউকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হয়নি। তবে ইতিমধ্যে ইসোলেশনে থাকা এক জনের লালারসের পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

Coronavirus Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy