প্রতীকী ছবি।
মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘চার জনের পজ়িটিভ রিপোর্ট বুধবার রাতে পেয়েছি। বৃহস্পতিবার তাঁদের বহরমপুরে মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে।’’
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ওই চার জনের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার রাতে যে চার জনের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে, তাঁদের চার জনই ভিন্ রাজ্য ফেরত। সরকারি উদ্যোগে নয়, নিজেদের উদ্যোগে, হেঁটে, বাসে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরেছেন। সূত্রের খবর বেলডাঙার বেগুনবাড়ির এক যুবক মুম্বই থেকে ট্রাকে ফিরছিলেন। ওই সময় আসানসোল পুলিশ ওকে আটক করে। পরে সেখানে তাঁর লালারস সংগ্রহ করে ছেড়ে দিয়েছিল। নিজের বাড়িতে আলাদা ভাবে থাকার জায়গা না থাকায় শক্তিপুরের মহম্মদপুরে মামার বাড়িতে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। বুধবার রাতে তাঁর পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে স্বাস্থ্য দফতর এদিন তুলে এনে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
সূত্রের খবর লালবাগের একই পরিবারের এক মহিলা ও তাঁর পুত্রবধূর করোনা পজিটিভ হয়েছে। তাঁদেরও করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সূ্ত্রের খবর, ওই মহিলা ছেলে বৌমা ও নাতনিকে নিয়ে ভিন্ রাজ্য থেকে নিজেদের খরচে বাড়ি ফিরেছেন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, তাঁরা মুম্বই থেকে তাঁরা প্রথমে নাসিক পর্যন্ত হেঁটে এসেছিলেন। দু’জনেই পরিচারিকার কাজ করেন। নাসিক থেকে ট্রাকে করে মোড়গ্রামে এসে নামেন। সেখান থেকে টোটো করে পলসণ্ডা। সেখান থেকে টোটো করে বাড়ি ফেরেন। সূত্রের খবর তাঁরা প্রথমে লোকজনের বাধায় নিজের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে স্বাস্থ্য তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। তাঁদের মধ্যে দু’জন পজিটিভ হয়েছে। ডোমকলের করোনা আক্রান্তও ভিন্ রাজ্য থেকে নিজের উদ্যোগে নিজের খরচে ফিরেছেন।
তিন জনকেই ভর্তি করা হয়েছে বহরমপুর মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে। ঘিরে দেওয়া হয়েছে আক্রান্ত পরিবারের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকা। কন্টেনমেন্ট জ়োন তৈরি করে চলছে কড়া প্রহরা। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের লালারস সংগ্রহ করার কাজও চলছে। তা ছাড়াও ওই পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে আর কেউ যাতে সংস্পর্শে না আসে, তার জন্য প্রশাসনের তরফে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডোমকলের এসিএমওএইচ মামুন রশিদ বলেছেন, ‘‘গত ১৭ তারিখ ডোমকলের এক শ্রমিক একটি ট্রাকে করে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে ফিরেছিল। সেদিনই অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁরও লালারস পরীক্ষা করা হয়, এ দিন তাঁর লালারসের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই আমরা তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করেছি। কন্টেনমেন্ট জ়োন তৈরি করে ঘিরে ফেলা হয়েছে ওই শ্রমিকের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy