Advertisement
E-Paper

খালাসিরা প্রতিষেধক না পাওয়ায় প্রশ্ন

দু’জন পরিবহণকর্মী টিকা পাবেন, আর নিয়মের গেরোয় পড়ে বাকি দু’জন পাবেন না, এটা মানা যায় না।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২১ ০৬:৪৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বাণিজ্যিক গাড়ির শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিবহণকর্মীরাই করোনার প্রতিষেধক পাবেন, রাজ্য সরকারের এমন নির্দেশিকার জেরে সমস্যায় খালাসি বা হেল্পাররা।

তাঁদের দাবি, চালক বা কন্ডাক্টরের লাইসেন্স হয়, কিন্তু হেল্পারদের তো লাইসেন্স হয় না। যার জেরে করোনার প্রতিষেধক নিতে এসে লাইসেন্স দেখাতে না পেরে হেল্পারদের ফিরে যেতে হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবহণকর্মী ও শ্রমিক ইউনিয়ন। তাঁদের ক্ষোভ, বাসে চালক, কন্ডাক্টরের পাশাপাশি দু’জন হেল্পারও থাকেন। দু’জন পরিবহণকর্মী টিকা পাবেন, আর নিয়মের গেরোয় পড়ে বাকি দু’জন পাবেন না, এটা মানা যায় না। শ্রমিক ইউনিয়নও হেল্পারদের প্রতিষেধক দেওয়ার দাবি তুলেছে।

সাগরপাড়ার একটি যাত্রিবাহী বাসের হেল্পার মিজান সরকার বলেন, ‘‘লকডাউন থাকায় যানবাহন চলাচল করছে না। তাই অনেক কষ্টে দিনকয়েক আগে বহরমপুর স্টেডিয়ামের টিকাকেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারি, শুধু চালক ও কন্ডাক্টরদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা হেল্পাররা টিকা দেওয়ার অনুরোধ করলেও সরকারি আধিকারিকরা দেননি। ফলে টিকা না নিয়েই ফিরতে হয়েছে।’’ মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক আনিসুল আম্বিয়া বলেন, ‘‘হেল্পার, ক্লিনাররা টিকা পাচ্ছেন না। আমরা সব ধরনের পরিবহণকর্মীকে প্রতিষেধক দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি প্রশাসনের কাছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কন্ডাক্টরের মতো বাসের দু’জন হেল্পারও সর্বদা যাত্রীদের সংস্পর্শে আসেন। তাই তাঁদেরও সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।’’

যদিও বাকি পরিবহণকর্মীদের পরবর্তী কালে প্রতিষেধক দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। বাকিরা পরে পাবেন।’’ জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘‘হেল্পার, ক্লিনার-সহ বাণিজ্যিক গাড়ির সব পরিবহণকর্মীকেই পরবর্তী সময়ে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। এ জন্য আমরা তালিকাও তৈরি করছি। শ্রমিক ইউনিয়নগুলির কাছ থেকে তাঁদের তালিকা নেওয়া হচ্ছে।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের পরিবহণকর্মী, হকার ও সাংবাদিকদের জন্য আপাতত ১৫,১২০টি ডোজ় প্রতিষেধক এসেছে। তিনদিনে প্রায় ৯০০ জন পরিবহণকর্মী প্রতিষেধক পেয়েছেন। অন্যদিকে, গত সোমবার থেকে জেলার বিভিন্ন পুরসভায় হকারদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার বহরমপুর পুলিশ হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য বিশেষ শিবির করা হয়।

COVID-19 coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy