করোনা মোকাবিলায় শিশু ও বালক-বালিকাদের মায়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই মর্মে রাজ্য থেকে জেলাগুলির কাছে নির্দেশিকাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশিপাশি প্রসূতিদেরও দ্রুত টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এঁদের টিকাকরণ শুরু হবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশু ও বালক-বালিকাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। শিশুদের চিকিৎসার জন্য জেলার একাধিক হাসপাতালে বিশেষ পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সদ্যোজাত থেকে ১২ বছর বয়সিদের মায়েদেরও দ্রুত টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের তালিকা এমনিতেই তাদের কাছে আছে। কারণ এই বয়সের শিশুদের অন্য টিকা দেওয়া হয় ও পোলিও খাওয়ানো হয়। ফলে তাদের মায়েদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করা সহজ। ৬ থেকে ১২ বছর বয়সিদের মায়েদের তালিকা তৈরি করার জন্য ব্লক স্তরে আশাকর্মী ও পুরসভার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করে তালিকা তৈরি করছেন। তা তৈরি হয়ে গেলেই নিকটবর্তী টিকাদান কেন্দ্র থেকে ওই মায়েদের টিকা দেওয়া হবে। তাঁদের টিকা নেওয়ার সময়ে আধার কার্ডের পাশাপাশি সন্তানের জন্মের শংসাপত্র সঙ্গে আনতে বলা হবে বলে জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন।
কেন শুধু মায়েদেরই টিকা দেওয়ার এই উদ্যোগ?