Advertisement
E-Paper

নড়েচড়ে  বসল পুলিশ, ধৃত আট দালাল

মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক থেকে তিন তলার বিভিন্ন বিভাগে ছড়িয়ে পড়েন স্থানীয় থানার সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা। বাড়তে থাকে হাসপাতালের ভিড়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১১

দালাল-দাপটের একাধিক নালিশ পেয়ে শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে ধারাবাহিক ভাবে খবর সামনে এসে পড়ায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল অভিযান চালানো হবে হাসপাতাল জুড়ে।

উর্দিধারী দেখলে পাছে সতর্ক হয়ে যায় দালালেরা তাই সাদা পোশাকেই ছড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশ কর্মীদের। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক থেকে তিন তলার বিভিন্ন বিভাগে ছড়িয়ে পড়েন স্থানীয় থানার সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা। বাড়তে থাকে হাসপাতালের ভিড়। পরিচিত মুখের কয়েক জন দালালের দিকে প্রথম থেকেই নজর রাখছিল পুলিশ। বেলা বাড়তেই তারা সক্রিয় হয়ে উঠতেই হাতেনাতে শুরু হয় ধরপাকড়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই, হাসপাতালের নানা বিভাগের সামনে থেকে এক এক করে আট জন দালালকে ধরে পুলিশ। বহরমপুরের গোরাবাজার থেকে হাত ভাঙা মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে এসে এই দিন সকালেই দালালের খপ্পরে পড়েন আশুতোষ চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে দ্রত এক্স-রে করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাড়তি ৩৫০ টাকাও চেয়েছিল। সেই সময়ে পুলিশ দেখেই প্রায় ছুটে পালায় দালাল।’’

সংবাদমাধ্যমে দিন কয়েক ধরেই দালাল-রাজের খবর সামনে আসতে থাকায় প্রশাসন থেকে পুলিশ, সতর্ক ছিল এ দিন সকাল থেকেই। অভিযান যে শুরু হবে, গোপন রেখেছিলেন বহরমপুর সদরের মহকুমাশাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। এ দিন তাঁর ইঙ্গিত পেয়েই ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ। বহরমপুর থানার আইসি সনৎ দাস বলেন, ‘‘রোগীদের প্রতারণা করার অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। আমরা তলায় তলায় নজর রাখছিলাম। ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের ইঙ্গিত পেয়েই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীদের।’’ ধৃত আট জনকে বহরমপুর সিজেএম কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ধৃতরা হলেন পঙ্কজ দুবে, জাকির সেখ, আব্দুল নুর হামিদ, কল্যাণ বসু, অনির্বাণ সিংহ রায়, সঞ্জিত বাগদি, আলমগির শেখ ও মানিক সরকার। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪১৯/৪২০/৩৮৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

তবে, এ দিন হাসপাতালে হাজির রোগীর পরিবারের লোকজনের দাবি, ধৃত এই আট জন এই চক্রের একটা ছোট অংশ মাত্র। এখনও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বহু দালালের আনাগোনা রয়ে গিয়েছে। সে কথা মেনে নিয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরাও। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, হাসপাতালে দালাল রাজের বিরুদ্ধে অভিযান আপাতত চলবে। থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশও।

Police Medical Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy