Advertisement
E-Paper

স্ত্রী-মেয়েদের পুড়িয়ে মারায় ফাঁসির আদেশ

পুলিশ সূত্রের খবর, বেলডাঙার মোয়াজ্জেমপুরের নাফিজার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওস্তাবের। ঘটনার দিন ভোরে গ্রামের লোকজন দেখেন, ওস্তাবের ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ঘরের বাইরে শিকলে তালা মারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০০:৩৯

গত ৩১ মে ভোরে কান্দি থানার পার্বতীপুরে ঘটনাটি ঘটেছিল। পরের দিন পুলিশ ওস্তাবকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে সে জেল হাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারক সন্দীপ মান্না তার সাজা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার পর কান্দি আদালতে এই প্রথম কারও ফাঁসির সাজা হল।

পুলিশ সূত্রের খবর, বেলডাঙার মোয়াজ্জেমপুরের নাফিজার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওস্তাবের। ঘটনার দিন ভোরে গ্রামের লোকজন দেখেন, ওস্তাবের ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ঘরের বাইরে শিকলে তালা মারা। তালা ভেঙে বের করা হয় নাফিজা বিবি ও তাঁর তিন মেয়ে আমিনা খাতুন (৫), মর্শিদা খাতুন (৩) ও তুহিনা খাতুনের (সাত মাস) দগ্ধ দেহ। নাফিজার বাবা রাজ্জাক শেখ সে দিনই কান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে প্রতিবাদ করেছিলেন নাফিজা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। তার জেরেই পরিকল্পিত ভাবে স্ত্রী ও মেয়েদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগায় ওস্তাব।

সরকারি কৌঁসুলি সুনীল চক্রবর্তী জানান, মামলায় ন’জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেই বিচারক মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। ওস্তাব নিজে কোনও আইনজীবী দিতে না পারায় আদালতের লিগ্যাল সেল থেকে সরকারি খরচে এক কৌঁসুলিকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই কৌঁসুলি, চৌধুরী আসিফ ইকবাল জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করবেন।

Kandi Murder Death Penalty Extra Marital Affair
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy